Raina Murder: ৫০ লাখে ব্যবসায়ী সব্যসাচীকে খুনের রফা, হত্যালীলার বিবরণ দিল সুপারি কিলার
খুনের দিন সব্যসাচীদের দেরিয়াপুরের বাড়ি সোমনাথ-ই দেখিয়ে দিয়ে যান। তদন্তকারীদের অনুমান, চায়ের দোকানে বসেই এই নৃশংস হত্যাকান্ডের ব্লু-প্রিন্ট ছকে রিকি ও অন্যরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : শিবপুরের ব্যবসায়ী সব্যসাচী মন্ডলের খুনের তদন্তে নয়া অগ্রগতি। পুলিসি জেরায় ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে খুনের কথা কবুল করেছে 'সুপারি কিলার' জানিসার আলম ওরফে রিকি। একইসঙ্গে কীভাবে দেরিয়াপুরে গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে আসা সব্যসাচীকে কীভাবে পরিকল্পনা মাফিক খুন করা হয়েছে পুলিসকে তারও বিবরণ দিয়েছে সে।
সোমবার মূল অভিযুক্ত জানিসার আলম ওরফে রিকিকে সব্যসাচী মন্ডলের দেরিয়াপুরের বাড়িতে পুলিস নিয়ে আসে সেদিনের ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য। সব্যসাচী মন্ডলের পৈতৃক বাড়িতে এসে প্রথমেই কান্নায় ভেঙে পড়ে রিকি। তারপর রিকি জানায়, প্রথমেই সে ও তার সঙ্গীরা ঠাকুরদালানের কাছে এসে চাকু দেখিয়ে ড্রাইভারকে ভয় দেখায়। তাঁর মোবাইল কেড়ে নেয়। ড্রাইভার আনন্দ সাউকে বাধ্য করে সব্যসাচীকে ডেকে আনতে। এবার সব্যসাচী দোতলা থেকে নামার আগেই পজিশন নিয়ে তৈরি থাকে তারা। সব্যসাচী নীচে নামতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় রিকি। এরপরই পালাতে যান সব্যসাচী। পালতে গিয়ে সিঁড়ির মুখে পড়ে যান সব্যসাচী। সেইসময় রিকি আরেক রাউন্ড গুলি চালায়। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে সে ও তার দলবল মিলে সব্যসাচীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বার বার কোপাতে থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই লুটিয়ে পড়েন সব্যসাচী। তাঁকে ওই অবস্থায় ফেলে রেখেই চম্পট দেয় সুপারি কিলার রিকি ও তার সঙ্গীরা।
একইসঙ্গে রিকি তার জবানবন্দিতে আরও স্বীকার করেছে যে, খুনের জন্য তাকে ৫০ লক্ষ টাকায় ভাড়া করেছিল সব্যসাচীর ছোটকাকার ছেলে সোমনাথ মন্ডল। এরমধ্যে ২০ লক্ষ টাকা অগ্রিম পেয়েছিল রিকি। বাকিটা পরে দেওয়ার কথা ছিল। এমনকি খুনের দিন সব্যসাচীদের দেরিয়াপুরের বাড়ি সোমনাথ-ই দেখিয়ে দিয়ে যান। কিন্তু 'অপারেশনে' তখনও দেরি থাকায় তারা প্রথমে পাশের গ্রাম বালাগড়ে চলে যায়। সেখানে দোকানে চা খায়। দোকানে। তদন্তকারীদের অনুমান, ওই চায়ের দোকানে বসেই এই নৃশংস হত্যাকান্ডের ব্লু-প্রিন্ট ছকে রিকি ও অন্যরা।
আরও পড়ুন, Narayanpur: অসুস্থ স্ত্রী, নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে যৌন ক্ষুধা তৃপ্তি বাবার!
প্রসঙ্গত, খুনের ঘটনায় পুলিস তদন্ত শুরু করার পরই নিহত সব্যসাচী মন্ডলের বাবা সুপারি কিলার দিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন কাকা ও খুড়তুতো ভাইদের দিকে। যদিও খুড়তুতো ভাইরা এখনও অধরা। তবে ঘটনার দিনের কালাড়াঘাট ব্রিজের সিসিটিভি ফুটেজ পুলিসের হাতে এসেছে। যা তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড় নিয়ে আসে।