লোকাল ট্রেন চলবে কবে থেকে, সোমবার রেলের সঙ্গে বৈঠক রাজ্যের
লকডাউনের শুরু থেকেই যাত্রী পরিবহন বন্ধ রাখলেও পণ্য পরিবহন সচল রেখেছিল রেল। উদ্দেশ্য ছিল নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের জোগান ঠিক রাখা
নিজস্ব প্রতিবেদন: স্পেশাল ট্রেনে চড়তে দেওয়ার দাবিতে শনিবার তুলকালাম হয় হাওড়া স্টেশনে। এদিন সন্ধেয় কয়েকশো যাত্রী ট্রেনে চড়তে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান হাওড়া স্টেশনে। তাঁদের দাবি, রুটি রুজির টানে ঘরে থেকে বেরিয়েছি। এখন ফিরব কীভাবে।
এদিন কোনওক্রমে গেট বন্ধ করে, লাঠি চালিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় রেল পুলিস। রেলের দাবি, ওই ট্রেন স্টাফ স্পেশাল। সেখানে সাধারণ যাত্রীদের উঠতে দেওয়ার অনুমতি নেই। ওই ঘটনার পরই লোকাল ট্রেন চালাতে চেয়ে রেলকে চিঠি দেয় রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন-অনেক সিঁড়ি ভেঙে এখানে এসেছি, আর মানিয়ে নিতে পারছি না, দলের বিরুদ্ধেই তোপ শীলভদ্রের
এদিন, পূর্ব রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজারকে চিঠি দিয়ে স্বরাষ্ট্র দফতরের অতিরিক্ত প্রধান সচিব এইচ কে দ্বিবেদী জানান, কোভিডবিধি মেনে সাধারণ যাত্রীদের জন্য সকাল ও দুপুরে ট্রেন চালাতে চায় রাজ্য সরকার। সেই চিঠির জবাব দিয়েছে রেল।
ওই চিঠিতে রেল জানিয়েছে, লকডাউনের শুরু থেকেই শহরতলির ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে রেল। কিন্তু এখন তা কীভাবে শুরু করা যায় তানিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে চায় রেল। গত ৩১ অক্টোবর এনিয়ে রেলকে একটি চিঠি লেখে রাজ্য সরকার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২ নভেম্বর সোমবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা বসবে রেল।
আরও পড়ুন-দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমলো কলকাতা-উত্তর ২৪ পরগনায়, একদিনে রাজ্য করোনার শিকার ৫৯
সূত্রের খবর, সোমবার নবান্নের ওই বৈঠকে থাকবেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও থাকবেন স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও অন্যান্য আধিকারিকরা। রেলের তরফে থাকবেন পূর্বরেলের অতিরিক্ত জিএম, অপারেশনাল ম্যানেজার।
উল্লেখ্য, লকডাউনের শুরু থেকেই যাত্রী পরিবহন বন্ধ রাখলেও পণ্য পরিবহন সচল রেখেছিল রেল। উদ্দেশ্য ছিল নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের জোগান ঠিক রাখা। এরপর ধীরে ধীরে দূরপাল্লার ট্রেন চালু করে রেল।