হারের জন্য দায়ী, কোচবিহার জেলা সভাপতি পদ থেকে অপসারিত রবীন্দ্রনাথ ঘোষ
কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের ৭টি বিধানসভা এলাকার মধ্যে ৫টিতেই পিছিয়ে তৃণমূল। রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিধানসভা কেন্দ্রেও খুব খারাপ ফল করেছে তৃণমূল।
নিজস্ব প্রতিবেদন : কোচবিহার জেলার সভাপতি পদ থেকে সরানো হল রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। তাঁর জায়গায় সভাপতির দায়িত্ব পাচ্ছেন বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ। কার্যকরী সভাপতি হচ্ছেন পার্থ প্রতিম রায়।
লোকসভা ভোটে কোচবিহারের পরাজয়ের মুখ দেখেছে তৃণমূল। ঘাসফুলের হাত থেকে কোচবিহার ছিনিয়ে নিয়েছে পদ্মশিবির। ভোটের দিন মধ্যাহ্নভোজ সারতে সারতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দাবি করেছিলেন, 'মেশিনারি কাজ করেছে। আর চিন্তার কিছু নেই।' কিন্তু ফল বেরতেই দেখা যায় রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে গোল দিয়ে জয়ী হয়েছেন বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক।
দলের অন্দরের খবর, ফল ঘোষণার পর কোচবিহারে তৃণমূলের হারের ময়নাতদন্তে বসে নেতৃত্ব। সেই ময়নাতদন্তে কোচবিহারে তৃণমূলের হারের কারণ হিসেবে উঠে আসে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ব্যর্থতা। দেখা যায়, কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের ৭টি বিধানসভা এলাকার মধ্যে ৫টিতেই পিছিয়ে তৃণমূল। রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিধানসভা কেন্দ্রেও খুব খারাপ ফল করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন, নেতাদের 'মুণ্ডু কাটার' হুমকি দিয়ে ফের পোস্টার পড়ল বিজেপি পার্টি অফিসে
দলীয় রিপোর্টে উল্লেখ, দলের ফল খারাপ হওয়ার পিছনে মূলত রবীন্দ্রনাথ ঘোষই দায়ী। সব নেতাদের নিয়ে কাজ করেননি তিনি। দলের অন্দরে অসন্তোষ জমা হয়েছে। আর এইসব কারণেই 'কোপ পড়ল' রবীন্দ্রনাথ ঘোষের উপর। কোচবিহার সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে ডানা ছাঁটা হল রবীন্দ্রনাথ ঘোষের।