Independence Day: অনুষ্ঠান মিটলেই তেরঙার সম্মানহানি! রাস্তা থেকে পতাকা কুড়িয়ে আনেন বালির প্রিয়রঞ্জন

এক মাস ধরে ঘুরে বেড়ান বিভিন্ন জেলায়। 

Updated By: Aug 13, 2021, 10:09 PM IST
Independence Day: অনুষ্ঠান মিটলেই তেরঙার সম্মানহানি! রাস্তা থেকে পতাকা কুড়িয়ে আনেন বালির প্রিয়রঞ্জন

নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৫ অগাস্টই হোক কিংবা ২৬ জানুয়ারি। উৎসবে, আয়োজনে কোনও খামতি থাকে না রাজ্যে। পাড়ায়-পাড়ায় অনুষ্ঠান, দিনভর পতপত করে ওড়ে তেরঙ্গা। কিন্তু তারপর? যত্রতত্র অবহেলায় পড়ে থাকা জাতীয় পতাকাগুলি সযত্নে সংগ্রহ করে রাখেন হাওড়ার বাালির যুবক প্রিয়রঞ্জন সরকার। এখনও পর্যন্ত তাঁর সংগ্রহে রয়েছে পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি পতাকা। 

স্বাধীনতা দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবস এলেই সাজো সাজো রব পড়ে যায়। উদযাপনের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে সকলেই। সকালে সুন্দর অনুষ্ঠানে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। কাগজের পতাকায় মুড়ে ফেলা হয় গোটা এলাকা। কিন্তু অনুষ্ঠান মিটে গেলে সেই পতাকাগুলির দিকে আর নজর থাকে না কারও। পথে-ঘাটে, যেখানে-সেখানে পড়ে থাকে ভারতের ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা। অনেকে আবার মাড়িয়েও চলে যান।

আরও পড়ুন: Vinoba Bhave: ১৯৪০ সালে তাঁকে দিয়েই অহিংস আন্দোলনের প্রচার শুরু করান গান্ধীজি

প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস ও স্বাধীনতা দিবসের দিন থেকে কাজে নেমে পড়েন প্রিয়রঞ্জন সরকার। বালির নিশ্চিন্দা এলাকায় থাকেন তিনি। জ্ঞান হওয়ার আগেই হারিয়েছেন বাবা। মা আভা সরকার ছেলেকে অনেক কষ্ট করে মানুষ করেছেন। পাড়ায় সবাই মনু বলে ডাকেন। গলায় সমস্যার কারণে ঠিকমতো কথা বলতে পারেন না প্রিয়রঞ্জন। সেকারণে অবহেলাও কিছু কম জোটেনি। জানালেন, তাঁর সব কাজে অনুপ্রেরণা মা। আভাদেবী বলতেন, মনু একদিন এমন কাজ করবে, যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সে আশা পূরণ হয়েছে। 

আরও পড়ুন: Kanaklata Barua: তাঁর আত্মদান দেশ জুড়ে মেয়েদের ঘোর দুঃসাহসী করে তুলেছিল

কীভাবে? ২০০৭ সাল থেকে রাস্তায় পড়ে থাকা জাতীয় পতাকা সংগ্রহ করছেন প্রিয়রঞ্জন। স্রেফ হাওড়া-ই নয়, ১৫ অগাস্ট ও ২৬ জানুয়ারির পর টানা একমাস ঘুরে বেড়ান বিভিন্ন জেলায়। এখন আবার এই কাজ জুটে গিয়েছেন আরও চল্লিশ জন যুবক-যুবতী। বাড়িতে দশ বাই পনেরো ফুটে একটি ট্রাঙ্ক বানিয়ে ফেলেছেন ওই যুবক। সেখানে সযত্নে রেখে দেন জাতীয় পতাকাগুলি, ধূপ জ্বালিয়ে পুজো করেন রোজ। শুধু কি তাই! মাসে পনেরো হাজার টাকা বেতন পান সেচ দপ্তরে অস্থায়ী কর্মী প্রিয়রঞ্জন সরকার। সেই টাকার বেশিভাগটাই সমাজসেবামূলক কাজ ব্যয় করেন তিনি। বছরে তিনবার রক্তদান শিবির, দু্র্যোগের সময়ে দুর্গত মানুষদের ত্রাণ, বাদ যায় না কিছুই। 

(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)

.