সরকারি স্কুলে লাগামহীন ফি, নিয়ন্ত্রণের আইনি খসড়া পৌঁছল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে
কী রয়েছে ওই আইনী খসড়ায়, সেখানে বলা হয়েছে বছরে ৫ শতাংশের বেশি ফি বৃদ্ধি করতে পারবে না কোনও স্কুলই। পাশাপাশি পরিষেবা দেওয়ার নিরিখে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে সমস্ত বেসরকারি স্কুলগুলিকে, খতিয়ে দেখা হবে ফি অনুযায়ী তাঁরা পরিষেবা দিচ্ছে কীনা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আইনি খসড়া আগেই তৈরি ছিল। এবার তা বাস্তবায়নে তৎপর রাজ্য সরকার। বেসরকারি স্কুলে অহরহ ফি বৃদ্ধির চাপে অভিভাবকদের ওষ্ঠাগত প্রাণ। একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। এবার এই বেলাগাম ফি নিয়ন্ত্রণে আনতেই মরিয়া রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: ইন্টার্ন শিক্ষক নিয়োগ এখনও সেই তিমিরেই, বিধানসভায় সংশয় প্রকাশ শিক্ষামন্ত্রীর
কী রয়েছে ওই আইনী খসড়ায়, সেখানে বলা হয়েছে বছরে ৫ শতাংশের বেশি ফি বৃদ্ধি করতে পারবে না কোনও স্কুলই। পাশাপাশি পরিষেবা দেওয়ার নিরিখে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে সমস্ত বেসরকারি স্কুলগুলিকে, খতিয়ে দেখা হবে ফি অনুযায়ী তাঁরা পরিষেবা দিচ্ছে কীনা। এরপর কোন কোন খাতে তাঁরা ফি নিচ্ছেন তাও খতিয়ে দেখা হবে। শুধু তাই নয় এরপর থেকে আলাদা আলাদা খাত দেখিয়ে কোনও রকম ফি নিতে পারবেন না স্কুল কর্তৃপক্ষ। একটাই খাত দেখিয়ে ফি নেওয়া যাবে অভিভাবকদের কাছ থেকে। এছাড়াও তৈরি হবে একটি কমিটি। যেখানে সমস্ত ফি সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগ জানাতে পারবেন অভিভাবকরা।
ইতিমধ্য়েই এই সমস্ত আইনি খসড়া পৌঁছে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তা এখন নেত্রীর বিবেচনাধীন। যত শীঘ্রই সম্ভব তা বাস্তবায়িত করার কথা ভাবছেন রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, এই আইন বাস্তবায়িত হলে স্বাভাবিকভাবেই উপকৃত হবেন অভিভাবকরা।