Kidney transplant: দক্ষিণ ভারতে গিয়ে হয়নি চিকিৎসা! স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে কিডনি প্রতিস্থাপন করে নজির গড়ল দুর্গাপুর...

Swasthya sathi card: এই কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে। এছাড়াও কিছু পরীক্ষায প্রায় লাখ খানেক টাকা খরচ হয়, বলে জানায় উজ্জ্বল বাবু। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছাড়া কিডনি প্রতিস্থাপন করতে খরচ হবে সাত থেকে আট লক্ষ টাকা।"

Updated By: Oct 22, 2024, 04:51 PM IST
Kidney transplant: দক্ষিণ ভারতে গিয়ে হয়নি চিকিৎসা! স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে কিডনি প্রতিস্থাপন করে নজির গড়ল দুর্গাপুর...
ফাইল ছবি

চিত্তরঞ্জন দাস: কলকাতায় আগেই হয়েছিল। এ বার কলকাতার বাইরেও। নজির গড়ল দুর্গাপুরের বেসরকারি মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। কলকাতার বাদে রাজ্যের প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপন। তাও আবার বিনা খরচায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে। 

আরও পড়ুন, Nadia: ছিল না মলদ্বার ও যোনিদ্বার! বিরলতম এক অপারেশনের ম্যাজিকে সেই তরুণী আজ মা...

জানা গিয়েছে, আসানসোলের ডিসেরগড়ের ইলেকট্রিক মিস্ত্রি পার্থ চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে কিডনির রোগে ভুগছিলেন। প্রথমে তিনি চিকিৎসা করাতে যান দুর্গাপুরের বিধাননগরের মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকেরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন। ডাক্তারদের ওপর ভরসা না করে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে তিনি দক্ষিণ ভারতে যান চিকিৎসার জন্য। কিন্তু সেখানেও চিকিৎসকেরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে একই কথা বলেন। হতাশ হয়ে ফিরে আসেন বাংলায়। ফিরে এসে দুর্গাপুরের বিধাননগরের দি মিশন হাসপাতালে তিনি পুনরায় চিকিৎসা শুরু করেন। পার্থ বাবুর বাবা উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় তাঁর একটি কিডনি ছেলেকে দান করার সিদ্ধান্ত নেন। অবশেষে ১৫ সেপ্টেম্বর বাবার কিডনি ছেলের শরীরে সফল ভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়। সাফল্য অর্জন করে হাসপাতাল। হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগ কিডনির অনেক জটিল রোগ ও সমস্যার সফল চিকিৎসা করলেও এতদিন কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য রোগীদের যেতে হত কলকাতা বা অন্য রাজ্যে। এই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত ১৫ সেপ্টেম্বর সফল কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পন্ন করার মাধ্যমে হাসপাতালের মুকুটে যোগ হল আরও একটি গৌরবোজ্জ্বল পালক

দি মিশন হাসপাতালের চেয়ারম্যান ড. সত্যজিৎ বসু বলেন,"এই সাফল্যের পিছনে নেফ্রোলজি বিভাগের ডা. দীপক কুমার ও ডা. রবি রঞ্জন সৌ মন্ডল সহ হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন ছেলে এবং বাবা। এই কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে। এছাড়াও কিছু পরীক্ষায প্রায় লাখ খানেক টাকা খরচ হয়, বলে জানায় উজ্জ্বল বাবু। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছাড়া কিডনি প্রতিস্থাপন করতে খরচ হবে সাত থেকে আট লক্ষ টাকা।" ছেলেকে কিডনি দান করে বাবা উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন,"আমি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। ছেলেও আমার সাথে একই কাজ করতাম । হঠাৎ করে ছেলের কিডনির সমস্যা দেখা দেয়। ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ছাড়া করাতেই পারতাম না। চিকিৎসকদের এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।" ডাক্তার রবি রঞ্জন সৌ মণ্ডল বলেন," এই অপারেশন করে খুব খুশি।"

আরও পড়ুন, Shatarup Ghosh: 'মানুষ বাঁদর নাচ নাচাবে...', চাঁছাছোলা আক্রমণ শতরূপের!

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.