ফিল্মি কায়দায় গ্রেফতার মালদা এটিএম লুঠের মূল পান্ডা

কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গে নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এটিএম লুটের সাথে জড়িত।

Edited By: অধীর রায় | Updated By: Sep 11, 2020, 03:14 PM IST
ফিল্মি কায়দায় গ্রেফতার মালদা এটিএম লুঠের মূল পান্ডা
নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন : মালদার সুজাপুরের রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাংকের এটিএম লুঠ কাণ্ডে মূল পান্ডা গ্রেপ্তার। উত্তরপ্রদেশের মথুরা জেলার বাসিন্দা ধরমবীর শর্মা ওরফে পন্ডিত জি কে রতুয়া থেকে গ্রেপ্তার করে কালিয়াচক থানার পুলিশ। ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজকে নেওয়া হয়েছে অভিযুক্তকে।

গত ২০ অগস্ট মালদা কালিয়াচক থানার সুজাপুরে একটি রাষ্ট্রীয়ত্ব ব্যাংকের এটিএম থেকে ৮ লক্ষ টাকা লুট করা হয়। এটিএম লুটের ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে মালদা জেলা পুলিস। জেলার পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়ার নেতৃত্বে তদন্ত আরম্ভ করেন পুলিসের পদস্থ কর্তারা। ঘটনার তদন্তে নেমে উত্তরপ্রদেশ যোগ পায় মালদা পুলিস।

এই প্রসঙ্গে মালদার পুলিস সুপার জানান, “ ঘটনার তদন্তে নেমে আমরা প্রথমে এটিএম সংলগ্ন এবং টোলপ্লাজার সমস্ত সিসিটিভ-র ফুটেজ খতিয়ে দেখি। পাশাপাশি যে পদ্ধতিতে এটিএম-টি ভাঙা হয়েছে তার সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে পেতে অতীতে রাজ্য এবং দেশের সমস্ত এটিএম লুঠের তথ্য জোগাড় করি। তাতে দেখা যায় মালাদার সুজাপুরে যে পদ্ধতিতে এটিএম ভাঙা হয়েছে তার সঙ্গে মিল রয়েছে উত্তরপ্রদেশের একটি এটিএম লুঠের ঘটনার। তারপরই আমরা উত্তরপ্রদেশের সেই জায়গার পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমাদের দেওয়া সমস্ত তথ্যের ভিত্তিতে উত্তরপ্রদেশের পুলিস একজনকে আটক করে। তাঁকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর ধরমবীর শর্মার নাম জানা যায়। উত্তরপ্রদেশ পুলিসের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অভিযুক্তের মোবাইল ট্র্যাক করে জানাতে পারি এই ধরমবীর শর্মা মালদার রতুয়ার বাহারালের এক গোপন ডেরায় আছে। আমাদের কয়েকজন দক্ষ অফিসার ছদ্দবেশে রতুয়াতে গিয়ে ধরমবীর শর্মার খোঁজ করতে শুরু করে। আমরা জানতে পারি ধরমবীর ওখানে এক প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় তাঁর ডেরায় আছে। সমস্ত তথ্য হাতে নিয়ে আমরা সরাসরি সেই প্রভাবশালী ব্যক্তিকে চেপে ধরি। গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে এই প্রভাবশালী ব্যক্তি ধরমবীর শর্মাকে আমাদের হাতে তুলে দেয়।“   

মালদার সুজারপুরের এটিএম লুঠের অভিযুক্ত ধরমবীর শর্মাও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। পুলিস জানতে পেরেছে এই ব্যক্তি কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গে নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এটিএম লুটের সাথে জড়িত। জেলা পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, “এই গ্যাং-এর বেশিরভাগ সদস্যকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি করছে কালিয়াচক থানার পুলিস।“

আরও পড়ুন, 'বিজেপির টাকাতেই দুর্গাপুজো নিয়ে ভুয়ো পোস্ট', ধৃত যুবকের বাড়িতে বিক্ষোভ তৃণমূলের

 

.