বেপাত্তা প্রধান শিক্ষক, আজও থমথমে দাঁড়িভিট হাইস্কুল
শিক্ষক নিয়োগ বিতর্ক, গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই প্রাক্তন ছাত্রের মৃত্যু কাটিয়ে আবার কবে থেকে ছন্দে ফিরবে স্কুল? স্থানীয় বাসিন্দারা এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দাঁড়িভিটকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বৃহস্পতিবারের হিংসার পর নতুন সপ্তাহে আজ প্রথম কাজের দিন। পড়াশোনা উঠেছে শিকেয়। প্রধান শিক্ষক অভিজিত্ কুণ্ডুর কার্যত কোনও খোঁজ নেই। থমথমে পরিবেশে পড়ুয়ারাও কার্যত স্কুলমুখো হয়নি।
সোমবারও দাঁড়িভিট স্কুলে গিয়ে দেখা গেল, যত্রতত্র পড়ে রয়েছে ভাঙা আসবাবপত্র। ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে কাগজপত্র। স্কুলের অফিস ঘর, প্রধান শিক্ষকের ঘর, স্টাফ রুম-সব জায়গাতেই এখন লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি। রাজনৈতিক নেতারা আসছেন-যাচ্ছেন। কিন্তু কেউই এখনও ভাবার সময় পাননি কবে থেকে শুরু হবে স্কুলের পড়াশোনা। শিক্ষক নিয়োগ বিতর্ক, গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই প্রাক্তন ছাত্রের মৃত্যু কাটিয়ে আবার কবে থেকে ছন্দে ফিরবে স্কুল? স্থানীয় বাসিন্দারা এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে ফের ভেঙে পড়ল সেতু! এক মাসে তিনটে ব্রিজ বিপর্যয়
রবিবার ইসলামপুরের দাঁড়িভিটে গিয়ে পুলিস পেটানোর নিদান দেন শঙ্কর। পুলিসকে বয়কটের ডাক দিয়ে গ্রামবাসীদের বলেন, কুকুরকে জল দেবেন কিন্তু পুলিসকে দেবেন না। একই সঙ্গে তাঁর পরামর্শ ছিল, গ্রামে যেন পুলিস ঢুকতে না পারে। ঢুকলে যেন বেরোতে না পারে। নিরপরাধদের গ্রেফতার করতে পুলিস গ্রামে ঢুকলেই গাছে বেঁধে পেটাবেন।
শঙ্করের এই বক্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া জানান আইজি আইনশৃঙ্খলা অনুজ শর্মা। তিনি বলেন, কারও হাতে মাইক থাকলেই সে যা খুশি বলতে পারে না। উনি দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে। ওর বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: সকাল থেকেই অবরোধ, বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা, বাতিল অনেক ট্রেন, আটকেও বহু
এর এক ঘণ্টার মধ্যেই উত্তর দিনাজপুরের দোমোহনা থেকে শঙ্কর চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে করণদিঘি থানার পুলিস। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। এদিকে গ্রেফতারের পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন শঙ্কর চক্রবর্তী। তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে হেমতাবাদ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান দলীয় নেতা কর্মীরা। সোমবার দুপুরে হেমতাবাদের শালবাগান এলাকা থেকে একটি ধিক্কার মিছিল বার করা হয়। এর পর হেমতাবাদ থানার সামনে চলে অবস্থান বিক্ষোভ।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর গুপ্তরোগ, বন্ধুর কথা শুনে রাস্তায় স্ত্রীর পিছনে হাঁটছিলেন স্বামী-তাতেই কাজ হাসিল!
এদিকে, এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোনাপুর হাট মহাত্মাগান্ধি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্ররা স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকদের স্কুলে ঢুকতে না দেয়নি তারা। প্রধান শিক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখায় ছাত্ররা। দাঁড়িভিট হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবিতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তারা।