ভিনরাজ্যে কর্মরত বাবার থেকে টাকা নিত ‘নকল’ ছেলে, পর্দা ফাঁসের ভয়েই খুন ছাত্র!
কালনার বাবুইডাঙ্গা গ্রামের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আরশাদ শেখের খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই তথ্য জানতে পেরেছে পুলিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কালনার পূর্বস্থলীর ছাত্র খুনের ঘটনায় নয়া মোড়। আরশাদ সেজে তার বাবার কাছে টাকা হাতিয়ে নিত অভিযুক্ত জামাল সেখ। সেই ঘটনা জানাজানি হওয়ার ভয়ে আরশাদকে নৃশংসভাবে খুন করছে জামাল। জামালকে গ্রেফতার করেছে পূর্বস্থলি থানার পুলিশ। কালনার বাবুইডাঙ্গা গ্রামের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আরশাদ শেখের খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই তথ্য জানতে পেরেছে পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আরশাদ জন্মানোর আগেই তাঁর বাবা মোরশেদ সেখ স্ত্রীকে তালাক দিয়ে চলে যান। কেরলে রাজমিস্ত্রীর কাজ শুরু করেন কালনার পূর্বস্থলির বাবুইডাঙ্গা গ্রামের মুরশেদ শেখ। গ্রামের এক ব্যাক্তি সাহাবুদ্দিন শেখের সঙ্গে পরিচয় হয় কেরলে। তাঁর কাছেই নিজের সন্তান আরশাদ শেখের খোঁজ নিতো। এসব কিছুই জানতেন না আরশাদ কিংবা তাঁর মা। এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছিল সাহাবুদ্দিন ও জামাল।
আরও পড়ুন: থেঁতলানো মুখ, গলায় ফাঁস, সরষে ক্ষেতের ধারে মিলল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের দেহ
আরশাদ সেজেই দিনের পর দিন মুরশেদের থেকে টাকা নিত জামাল। তারপর সেই টাকা জামাল ও সাহাবুদ্দিন ভাগ করে নিত। কেরল থেকে নিজের ছেলেকে দেখতে গ্রামে ফেরার কথা ছিল মোরশেদের। তাদের সব কীর্তি ফাঁস হয়ে যাবে, এই ভয় পেয়েই মুরশেদের ছেলে অর্থাত্ আরশাদকে খুন করে জামাল। তদন্তে নেমে এমনই তথ্য উঠে এসেছে পুলিসের হাতে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ ডিসেম্বর কালনার বাবুইডাঙা গ্রামের সরষে খেতের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আরশেদ শেখের ক্ষতবিক্ষত দেহ। তার গলায় গামছার ফাঁস ছিল। মুখ ভারী কোনও বস্তু দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল। কে বা কারা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রকে খুন করতে পারে, কেনই বা খুন, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় ছিল গোটা পরিবার। পরে পুলিসের হাতে উঠে আসে জামালের নাম।