Jhargram: মাটি খুঁড়ে বহু দূরের নদীতীর থেকে জল নিয়ে আসতে হচ্ছে! কবে হবে সুরাহা?
Jhargram: নদীর জল থেকেও নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা না হলে ওই এলাকার বাসিন্দারা এই নোংরা জল খেয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবেন বলেও আশঙ্কার কথা জানান তাঁরা। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান জেলাশাসক।
সৌরভ চৌধুরী: বেলপাহাড়ির ভেলাইডিহার ভাড়ারুপাল গ্রামে তীব্র জলসংকট। এই গ্রামের এখন তারাফেনি নদীর জলই ভরসা। যদিও তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ে বছরখানেক আগে পানীয় জলের পাম্প ও ট্যাঙ্ক বসানো হয়েছে এখানে। তবে তা থেকে মিলছে না জল।
আরও পড়ুন; Thakurnagar: অভিষেকের কর্মসূচির আগে মমতার নামে ধিক্কার পোস্টার ঠাকুরনগরে...
ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি ব্লকের ভেলাইডিয়া পঞ্চায়েতের ভাঁড়ারুপাল গ্রামটি লোধা-শবর অধ্যুষিত। ওই গ্রামে প্রায় ২২টি লোধা-শবর পরিবার-সহ প্রায় ৪০টি পরিবারের বাস। এহেন ভাড়ারুপাল গ্রামে সম্প্রতি পানীয় জলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। প্রায় তিন লক্ষ টাকা খরচ করে দুবছর আগে এখানে পাম্প বসানো হলেও সেই পাম্প থেকে জল পড়ছে না।
ওই গ্রামে একটি টিউবওয়েল রয়েছে, যাতে টপটপ করে জল পড়ে মাত্র! এক বালতি জল ভর্তি করতে প্রায় দু'ঘণ্টা সময় লাগে। ওই গ্রামের বাসিন্দারা বলেন পাম্প আছে জল নেই। প্রশাসনকে বারে বারে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। ফলে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে থাকা তারাফেনি নদী থেকে জল এনে ব্যবহার করতে হয় গ্রামবাসীদের। আর দূর থেকে জল আনতে গিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের।
আরও পড়ুন; Abhishek Banerjee: '৫ মিনিট লাগবে, এই লোকজন ভেঙে ঢুকে যাব ঠাকুরবাড়িতে'!
তা ছাড়া নদীর জল থেকেও তাঁদের নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। দ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা না হলে ওই এলাকার বাসিন্দারা এই নোংরা জল খেয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবেন বলেও তাঁদের আশঙ্কার কথা জানান।
বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাহালা হাঁসদা বলেন, যেখানে পাম্প বসানোর জন্য বোরিং করা হয়েছিল, সেখানে জলস্তর পাওয়া যায়নি। ফলে নতুন করে অন্য জায়গায় বোরিং করা হবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ওই গ্রামে পানীয় জলের সমাধান করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। এই ব্লকে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। পিএইচই (PHE) ডিপার্টমেন্ট থেকে সার্ভেও করা হয়েছে। পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল।