Changmari: রয়েছে তিনটি পাম্পঘর, তবুও ভুটান থেকে জল আনতে বাধ্য হচ্ছেন চ্যাংমারির বাসিন্দারা
ভারত ভুটান সীমান্তে নেপালী লাইন মহল্লায় প্রায় ৪০০ পরিবারের বাস। প্রাকৃতিক কারণে এখানে মাটিতে কুয়ো খনন করা যায়না। ভরসা প্রাকৃতিক ঝর্ণার জল। কথা ছিল গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়া হবে। কিন্তু, বাসিন্দাদের অভিযোগ পাম্পঘর থাকা সত্ত্বেও তারা জল পাচ্ছেন না।
অরূপ বসাক: রয়েছে তিনটি পাম্পঘর। তবুও জল পাচ্ছে না ৪০০ পরিবার। প্রচন্ড গরমে ক্ষুব্ধ আপার চ্যাংমারির মানুষ। মাথার উপর গনগনে সূর্যের তাপ। এই গরমে পানীয় জল বয়ে আনতে হচ্ছে প্রতিবেশী দেশ ভুটান থেকে। অথচ গ্রামের মধ্যে রয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের তিনটি পাম্পঘর।
এই রকম ঘটনা ঘটে চলছে ভারত ভুটান সীমান্তে অবস্থিত ডুয়ার্সের নাগরাকাটা ব্লকের আপার চ্যাংমারি এলাকার নেপালী লাইন মহল্লায়।
ভারত ভুটান সীমান্তে নেপালী লাইন মহল্লায় প্রায় ৪০০ পরিবারের বাস। প্রাকৃতিক কারণে এখানে মাটিতে কুয়ো খনন করা যায়না। ভরসা প্রাকৃতিক ঝর্ণার জল। শুখার মরসুমে সেই ঝর্ণা শুকিয়ে যায়। তখন জলের মারাত্মক সমস্যা হয়। এই সমস্যা দূর করতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের উদ্যোগে তিনটি স্থানে পাম্পঘর নির্মাণ করা হয়েছিল।
কথা ছিল গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়া হবে। কিন্তু, বাসিন্দাদের অভিযোগ পাম্পঘর থাকা সত্ত্বেও তারা জল পাচ্ছেন না। গ্রামের মানুষের বক্তব্য এই পাম্পের মাধ্যমে জল তুলে পাইপের সাহায্যে অন্য গ্রামে সরবরাহ করা চলছে কিন্তু তারা পাচ্ছে না। বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ যে তারা প্রতিবেশী দেশ ভুটান থেকে ভিক্ষা করে পানীয়জল নিয়ে আসেন। তা না হলে কুচি ডায়না নদীর জল পানীয় হিসাবে ব্যবহার করতে হয়।
এতেই প্রচন্ড ক্ষুব্ধ ওই এলাকার মানুষ একত্রিত হয়ে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরে বিক্ষোভ দেখান। বাসিন্দারা জানান এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে তারা পাম্পঘরে তালা লাগিয়ে জল তোলা বন্ধ করবেন।
এই ঘটনা নিয়ে নাগরাকাটার বিডিও বিপুল কুমার মন্ডল জানান, ‘বিষয়টি নিয়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ নেবেন।‘