Frog Marriage | Rain: বৃষ্টিতে শান্ত হোক খরাক্লান্ত ধরা, শান্তিপুরে ব্যাঙের বিয়ে
গ্রীষ্মের মধ্যে দাবদাহ চলবে এটাই স্বাভাবিক তবে কালবৈশাখী এলেই হবে বৃষ্টি। বৃষ্টির জল পেয়ে ধূসর উদ্ভিদ সবুজে ভরে উঠবে। ক্লান্ত প্রাণিকুল একটু নিঃশ্বাস নেবে। এমন হওয়াটাই খুব স্বাভাবিক। কিন্তু সমগ্র বৈশাখ মাসেও যখন বৃষ্টির দেখা মেলে না তখনই মাথায় হাত পড়ে কৃষকদের। আর বৃষ্টির আশায় বিভিন্ন সংস্কারের শরণাপন্ন হয়ে পড়ে ‘প্রকৃতির কাছে অসহায়’ মানুষ।
বিশ্বজিৎ মিত্র: বৃষ্টির দেবতা বরুণের আশীর্বাদ পেতে, ব্যাঙের বিবাহ দিয়ে কালী মন্দিরে পুজো এলাকাবাসীর। প্রবল দাবদহে পুড়ছে বাংলা। দেখা নেই বৃষ্টির। এমনকী আগামী বেশ কয়েকদিন তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায়। এই পরিস্থিতিতে গরমের রোষানল থেকে বাঁচতে বৃষ্টির আশায় টোপর মাথায় দিয়ে বিয়ের আসরে বসল পুরুষ এবং মহিলা ব্যাঙের।
বাজলো ঢোল, কাঁসি, শাঁখ, কাঁসর ঘন্টা, উলুধ্বনিতে মুখরিত গোটা এলাকা। কব্জি ঢুবিয়ে খিচুড়ি খাওয়ার ব্যবস্থা রাতে। আপাতত পুজোর পরে মুড়ি বাতাসা প্রসাদ।
আরও পড়ুন: Maoist Poster: দিনেদুপুরে এবার মাওবাদী পোস্টার বারাসতের হৃদয়পুরে....
গ্রীষ্মের মধ্যে দাবদাহ চলবে এটাই স্বাভাবিক তবে কালবৈশাখী এলেই হবে বৃষ্টি। বৃষ্টির জল পেয়ে ধূসর উদ্ভিদ সবুজে ভরে উঠবে। ক্লান্ত প্রাণিকুল একটু নিঃশ্বাস নেবে। এমন হওয়াটাই খুব স্বাভাবিক। কিন্তু সমগ্র বৈশাখ মাসেও যখন বৃষ্টির দেখা মেলে না তখনই মাথায় হাত পড়ে কৃষকদের। আর বৃষ্টির আশায় বিভিন্ন সংস্কারের শরণাপন্ন হয়ে পড়ে ‘প্রকৃতির কাছে অসহায়’ মানুষ।
নদীয়ার শান্তিপুর হরিপুর পঞ্চায়েতের সরদার পাড়া এলাকায়, শুক্রবার এই রকমই প্রাচীন এক রীতির দেখা মিললো। আদিবাসী অধ্যুষিত ওই এলাকার কমল ফকির জানান, বহু পূর্বে গ্রামে এই ধরনের একটি আয়োজন হয়েছিলো। হিন্দু আচার মেনে মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে ধুমধাম করে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার।
আরও পড়ুন: Tapas Saha CBI: তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার বাড়িতে সিবিআই
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবশ্যই বৃষ্টিপাত হবে। উদ্যোক্তারা জানান, বৃষ্টির দেবতা বরুণদেবকে তুষ্ট করে বৃষ্টি নামাতেই এই উদ্যোগ। বিয়ের অনুষ্ঠানে উপলক্ষে বরপক্ষ এবং কনেপক্ষ উভয়েই উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কালী মন্দিরে। শোভাযাত্রা সহ উপস্থিত হয়ে সেখানে মায়ের কাছে প্রার্থনা করা হয়।
স্থানীয় জন প্রতিনিধি, তাপস বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন এলাকাবাসীর সঙ্গে। কুসংস্কার কি না সেই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি হিসেবে সাধারণ মানুষের সুখে-দুখে থাকতে হয়, বিশ্বাস তাদের কাছে তবে তাদের বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে পৌঁছেছিলাম সেখানে। তবে ব্যাংক দুটোকে তার নিজস্ব জলাশয় ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ তারা রেখেছে। সমগ্র এলাকায় উৎসবের চেহারা নিয়েছে’।