বিষমদ কাণ্ডে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
বিষমদ কাণ্ডে নিহতদের পরিবারের হাতে শুক্রবার ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নদীয়ার শান্তিপুরে বিষমদ কাণ্ডে ইতিমধ্যেই ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বিষমদ কাণ্ডে নিহতদের পরিবারের হাতে শুক্রবার ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নদীয়ার শান্তিপুরে বিষমদ কাণ্ডে ইতিমধ্যেই ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
এদিন নিহতদের পরিবারের হাতে ২ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সরকারের তরফে বুধবারই মৃতদের পরিবার পিছু ২ লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সংগ্রামপুরে বিষমদে মৃত্যুর ঘটনাতেও একইরকমভাবে ক্ষতিপূরণ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার তীব্র সমালোচনা করেন বিরোধীরা। এদিন চেক তুলে দিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিরোধীরা অযথা কুত্সা রটাচ্ছে। ভোটের রাজনীতির প্রসঙ্গ সাফ খারিজ করে দেন।
আরও পড়ুন, 'রজতের আত্মহত্যার কথা ভয়ে বলতে পারিনি', সাফাই মৃত আইনজীবীর স্ত্রীর
অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই পুলিসের জালে ধরা পড়েছে চোলাই মদ কারবারের কিংপিন গণেশ হালদার। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে শান্তিপুরের চৌধুরীপাড়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। বিষমদ কাণ্ডে প্রথমে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। সেই চারজনকে জেরা করেই মূল অভিযুক্ত গণেশ হালদারের নাগাল পায় পুলিস। অপর অভিযুক্ত চন্দন মাহাতর মৃত্যু হয় আগেই। মৃত্যু হয়েছে চন্দনের এক আত্মীয়েরও।
আরও পড়ুন, কেউ কি জেনে শুনে বিষ মদ খায়? ক্ষতিপূরণ নিয়ে সাফাই দিতে গিয়ে বললেন মমতা
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাইরে থেকে চোলাই নিয়ে আসা হত। কালনা থেকে নদীপথে নৌকার খোলে ভরে মদের কারবারিরা চোলাই আনত। বিষমদ খেয়ে একের পর এক মৃত্যুর খবর আসার পরই তদন্তে নামে সিআইডি। সাসপেন্ড করা হয় এক ওসি, দুই সার্কেল ইন্সপেক্টর সহ আবগারি দফতরের এগারো কর্মীকে। পরে বৃহস্পতিবার শান্তিপুর থানার ওসি সৌরভ চট্টোপাধ্যায়কে ক্লোজও করা হয়।