Panchayat Election 2023: প্রতীক না পাওয়া কর্মীদের পাশে আছি, ভোটের আগে দলের অস্বস্তি বাড়ালেন হুমায়ুন
Panchayat Election 2023: ভোটে প্রার্থী করা নিয়ে গোলমালের জেরে দুটি পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন হুগলির বলাগড়ের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। পরে বিধায়ক পদও ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
সোমা মাইতি: রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের একাংশ নির্দলের হয়ে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এনিয়ে দলের কর্মীদের প্রবল ক্ষোভ বেড়িয়ে পড়েছে প্রকাশ্যে। ভরতপুর, বলাগড়, রায়না-সহ একাধিক জায়গায় একই ছবি। ওইসব নির্দলদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ায় দাবি উঠেছে দলের মধ্যে থেকেই। এনিয়ে এবার উল্টো সুর মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের মুখে।
আরও পড়ুন-অবিরাম বৃষ্টিতে জলমগ্ন শহর! তিস্তা, জলঢাকায় জারি হলুদ সতর্কতা
বুধবার দলীয় কর্মসূচিতে ভরতপুর গিয়েছিলেন হুমায়ুন কবীর। সেখানেই দলের অস্বস্তি বাড়ালেন তিনি। হুমায়ুন বলেন, যেখানে যেখানে প্রতীক পেয়েছি সেখানে ওইসব প্রার্থীদের জেতানোর পাশাপাশি প্রতীক চেয়েও যারা বঞ্চিত, যারা নৌকো, টেবিল, চেয়ার চিহ্ন পেয়েছেন তাদেরও আমার পূর্ণ সমর্থন রইল। আমরা তাদের নির্বাচনে জেতাব। আগামী ১১ জুলাই জয়ের সার্টিফিকেট পাওয়ার পর আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ, অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় জিন্দাবাদ স্লোগান দেব, নির্দলরাও দেবে।
হুমায়ুন আরও বলেন, অবহেলিত, লাঞ্চিত, অপমানিত, গুরুত্ব না পাওয়া কর্মীদের জমায়েত করে দেখাব। মানুষের গুরুত্ব আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি। আমার সোজা কথা, অন্যায় হলে, অবিচার হলে তার প্রতিবাদ আমি করব। প্রতীক না পাওয়া কর্মীদের পাশে আমি থাকব। ভোটের ফলাফলের পর নেত্রীর কাছে যাব। নেত্রী যা বলবেন সেটাই করব। কোনও চুক্তি করে কখনও দল করিনি। বাহাত্তর ঘণ্টার যে আলটিমেটাম দিয়েছিলাম সেটা আমি প্রত্যাহার করছি। আমার সঙ্গে নেতৃত্বের কথা হয়েছে।
রায়না ২ নম্বর ব্লকে জেলা থেকে পাঠানো প্রার্থীদের অর্ধেক ছেঁটে দলেরই একটি গোষ্টীকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি ব্লক তৃণমূল নেতা অসীম পালের। দলের এক বড় অংশের দাবি, প্রার্থীপদ ভাগাভাগির পেছেন রয়েছে বিধায়িকা সম্পা ধাড়া। গতকাল ছিল মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। যাদের নিয়ে দলের একাংশের আপত্তি তাদের মনোনয়ন ফেরত করা হয়নি। ফলে এনিয়ে প্রবল ক্ষোভ জমছে ৬টি পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে।
ভোটে প্রার্থী করা নিয়ে গোলমালের জেরে দুটি পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন হুগলির বলাগড়ের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। পরে বিধায়ক পদও ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, পঞ্চায়েতে প্রার্থী করার ক্ষেত্রে প্রবল স্বজন পোষণ হয়েছে। কোথায় চলেছে টাকার খেলা।
পঞ্চায়েত ভেটের টিকিটি বিলি নিয়ে হুমায়ুন কবীর সরাসরি আঙুল তুলেছেন জেলা সাভপতি শাওনি সিংহ রায়ের দিকে। তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, উত্তর দিনাজপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন প্রশাসন যেন নিরপেক্ষ আচরণ করে। সেই একই কথা বলছি। প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকুক। তা না হলে নির্দলদের হয়ে প্রচার করব।