বকখালি, দিঘা, কালিম্পং-সহ ১৩টি পর্যটন লজ খুলে দেওযার সিদ্ধান্ত রাজ্যের
জানানো হয়েছে, ডায়মন্ড হারবার, ঝাড়গ্রাম, ব্যারাকপুর, বকখালি, দিঘা, মেদিনীপুর, বিষ্ণুপুর, সুন্দরবন, মাইথন, বোলপুর ও কালিম্পং-এর মর্গান হাউস রয়েছে এই তালিকায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে ট্যুরিস্ট লজ খোলার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছেন এক কোটিরও বেশি মানুষ। গত সাড়ে তিন মাসের লকডাউনের জেরে কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে পর্যটন শিল্প, আয়হীন এই জীবীকার সঙ্গে জড়িত প্রায় সকলেই।
আরও পড়ুন: পর্ণশ্রীকাণ্ডে নয়া মোড়! দুর্ঘটনা নয়, বন্ধ ঘরে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী মা ও মেয়ে
তাই সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে রাজ্য়ের ১৩টি টুরিস্ট লজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। জানানো হয়েছে, ডায়মন্ড হারবার, ঝাড়গ্রাম, ব্যারাকপুর, বকখালি, দিঘা, মেদিনীপুর, বিষ্ণুপুর, সুন্দরবন, মাইথন, বোলপুর ও কালিম্পং-এর মর্গান হাউস রয়েছে এই তালিকায়। তবে পর্যটকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত রাজ্যের পর্যটন দফতর। পর্যটন দফতর সূত্রে খবরস ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে অনলাইন বুকিং, সাড়াও মিলছে ভালই।
কীকী সুরক্ষাবিধি? দেখে নিন একঝলকে
*জানানো হয়েছে, সম্পূর্ণ অনলাইন পদ্ধতিতে বুকিং হবে।
*লজগুলোতে প্রতি রুমে স্যানিটাইজার প্যাক চালু করছে রাজ্য। একজন ব্যবহারের পর ওই প্যাক ফেলে দেওয়া হবে।প্যাকে থাকবে টুথপেস্ট, টুথব্রাশ, চিরুনি, তোয়ালে, সাবান শ্যাম্পু-সহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র।
*বিছানাপত্র কীভাবে স্যানিটাইজ করা হবে তার জন্য লজের কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সরকার।
*অনলাইন বুকিং-এর পাশাপাশি অনলাইন বিজ্ঞাপন চালু করেছে সরকার। শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায অর্থাৎ ফেসবুক, টুইটারে ছোট ছোট বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে পর্যটক টানার আকর্ষণ জন্য।
*আপাতত কোনও লজের ডাইনিং হলে খাবার দেওয়া হবে না। শুধুমাত্র রুম সার্ভিস করা হবে। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে পর্যটকদের।