লকডাউনে বিপর্যস্ত ডাকবিভাগ, পরিষেবা দিতে হেল্পলাইন নম্বর চালু করল উত্তর প্রেসিডেন্সি ডাকবিভাগ

 " যেসব সিনিয়র সিটিজেনদের অসুবিধে হবে তারা ০৩৩-২৫৯২৬০৮৮ বা ৯৪৩৩৯৭৪৮০০ নম্বরে ফোন করলেই, তাদের বাড়িতে পোস্টঅফিস সংক্রান্ত  সমস্ত সুযোগ  সুবিধা  বাড়িতে পৌছে যাবে ।"

Reported By: অধীর রায় | Updated By: May 18, 2020, 11:57 AM IST
লকডাউনে বিপর্যস্ত ডাকবিভাগ, পরিষেবা দিতে হেল্পলাইন নম্বর চালু করল উত্তর প্রেসিডেন্সি ডাকবিভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদন: বেলঘরিয়ায় থেকে কাঁচরাপাড়া। প্রায় গোটা উত্তর ২৪ পরগনার পোস্টঅফিসের পরিষেবা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে।  প্রায় দু’মাস রাজ্যে লকডাউন। ঠিকমতো পোস্টঅফিস পরিষেবা দিতে না পারায় জেলার বয়স্ক মানুষরা আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন।
বেলঘরিয়া থেকে কাঁচরাপাড়া এই বিস্তীর্ণ এলাকা ভারতীয় ডাকঘরের উত্তর প্রেসিডেন্সি বিভাগের অন্তর্গত। এই বিভাগে মোট ৯৫ টি পোস্টঅফিস আছে। তার মধ্যে ১৬টি পোস্টঅফিস প্রতিদিন খোলা থাকে। ৪১টি পোস্টঅফিস মাসে পনেরোদিন খোলা থাকে। আর বাকি ৩৮টি দু’মাস ধরে একদম বন্ধ। এই অবস্থায় চরম আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন পোস্টঅফিসের গ্রাহকরা। বিশেষ করে  যে  ৩৮টি পোস্টঅফিসের গ্রাহকরা বেশি অসুবিধার মুখে পড়েছেন। রিনা সেনগুপ্ত,  বাবলু ঘোষ, রেখা বিশ্বাসরা প্রতিদিন  অনেক আশা নিয়ে আসেন আর নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। এনাদের অভিযোগ, "আমরা পেনশন তুলতে পারছি  না। অনেকের এমআইএসের টাকায় সংসার চলে। দু’মাস ধরে অনেকে  ওষুধ কিনতে পারছেন না।" এনারা সকলেই নিম্ন-মধ্যবিত্ত। না পারছেন ত্রাণের লাইনে দাঁড়াতে। একদিকে হাতে খাদ্যসামগ্রী আর অন্যান্য খরচ চালানোর টাকা নেই। গোটা উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় পোস্টঅফিসের পরিষেবা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ায় চরম আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হাজার হাজার মানুষ। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিজেদের অক্ষমতা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন ডাকবিভাগের উত্তর প্রেসিডেন্সি বিভাগের অধিকর্তা গৌতম কুমার  জানা। তিনি জানিয়েছেন,  "লকডাউনের জন্য প্রায় পঞ্চাশ  থেকে ষাট শতাংশ স্টাফ কাজে আসতে পারছেন না। তাই পরিষেবা আমরা ঠিকমত দিতে পারছি না। তবে সীমিত ক্ষমতার মধ্যে আমরা আমরা আপ্রাণ চেষ্টা  করছি। ৯৫ টি পোস্টঅফিসের মধ্যে ১৬টি ডেলিভারি অফিস। যেটা প্রতিদিন খোলা থাকে। আর ৪১টি পোস্টঅফিস রোটেশন করে মাসে তিনটি সময়ে খোলা হচ্ছে।
মাসের এক থেকে ৫ তারিখ তারিখ পেনশন হোল্ডার আর সিনিয়র নাগরিকদের জন্য  খোলা। ১২-১৫ তারিখ বয়স্ক  বাদে বাকিরা টাকা জমা তোলার কাজ করতে পারবে । আর ২৫ থেকে মাসের শেষ তারিখ পর্যন্ত সবাই সব কাজ করতে পারবে । "
বাকি ৩৮টি পোস্টঅফিস স্টাফের অভাবে খোলা সম্ভব হচ্ছে  না  জানিয়েছেন ডাকবিভাগের অধিকর্তা গৌতম কুমার জানা।

আরও পড়ুন:মর্নিং ওয়ার্ক করতে গিয়ে হাতির হাতে প্রাণ গেল কিশোরের

তবে যে ৪১টি পোস্টঅফিস রোটেশন করে মাসে যে পনেরো দিন খোলা থাকে সেই পোস্টঅফিস থেকে ঠিকঠাক পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন সেইসব এলাকার মানুষ। তবে বেলঘরিয়া থেকে কাঁচরাপাড়া পর্যন্ত ৯৫টি পোস্টঅফিসের হাজার হাজার গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে  ডাকবিভাগের উত্তর প্রেসিডেন্সি বিভাগের অধিকর্তা গৌতম কুমার  জানা জানিয়েছেন, " যেসব সিনিয়র সিটিজেনদের অসুবিধে হবে তারা ০৩৩-২৫৯২৬০৮৮ বা ৯৪৩৩৯৭৪৮০০ নম্বরে ফোন করলেই, তাদের বাড়িতে পোস্টঅফিস সংক্রান্ত  সমস্ত সুযোগ  সুবিধা  বাড়িতে পৌছে যাবে ।"

তথ্য সংগ্রহে: অনন্ত চট্টোপাধ্যায়

 
.