Cyclone Jawad: বাংলায় ঘূর্ণিঝড় নয়, জাওয়াদের দাপটে কবে কোথায় কতটা বৃষ্টি হবে? জেনে নিন
কাল দুপুরে পুরীতে অবস্থান করবে জাওয়াদ। তারপর এরাজ্যে ঢোকার আগেই তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ইয়াসের ভয়াল স্মৃতি উসকে দিয়ে আতঙ্ক জাগিয়েও শেষপর্যস্ত স্বস্তি দিল ঘূর্ণিঝড় 'জাওয়াদ'। পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের কোনও সম্ভাবনা নেই। আতঙ্কও নেই। এমনকি কলকাতা সহ উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও থাকছে না। হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। শুধুমাত্র উপকূল অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে ৪ তারিখ (শনিবার) রাত থেকে ৬ তারিখ (সোমবার) সকাল পর্যন্ত। সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। যা সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৫৫ কিমি হতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে স্পষ্ট জানাল হল একথা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ল্যান্ডফলের কোনও সম্ভাবনা-ই নেই আর জাওয়াদের। তা ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে। প্রয়োজনীয় জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়েছে জাওয়া। উত্তুরে শুষ্ক ও ঠান্ডা হাওয়ায় 'সিস্টেম' ভেঙে গিয়েছে। ফলে তা যত স্থলভাগের দিকে এগোবে তত দুর্বল হয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে ধীরে ধীরে। কাল দুপুরে পুরীতে অবস্থান করবে জাওয়াদ। তারপর এরাজ্যে ঢোকার আগেই তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। যার জেরে বৃষ্টি হবে। এখন বৃষ্টির জন্য ধান, আলু, সরষে সহ সবজি চাষে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেকারণে ফসল কাটার নির্দেশিকা বহাল থাকছে। ইতিমধ্য়েই ফসল কাটার কাজ অনেকাংশে হয়েও গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে যত ঘূর্ণিঝড় হয়, তারমধ্যে ৯০ শতাংশ নীচ দিয়ে তামিলনাড়ুর দিকে অগ্রসর হয়। আর ১০ শতাংশ জলভাগের উপরদিকের বাতাসের সঙ্গে উপর দিয়ে 'কার্ভ' করে সুন্দরবন ও বাংলাদেশের দিকে এগোয়। এই সময়টাতেই উত্তুরে ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস 'সিস্টেমে' ঢুকে পড়ায়, তা 'জাওয়াদ'কে শক্তিশালী হতে বাধা দেয়। ফলে ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ দুর্বল হয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে যাবে। এরাজ্যে ঢোকার আগেই তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। সোমবার বিকেলের পর থেকে আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করবে। তবে শীত আবার কবে পড়বে? তা এখনই স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন, Omicron: দেশে তৃতীয় ওমিক্রন আক্রান্তের হদিস, জিম্বাবোয়ে ফেরত ব্যক্তির দেহ মিলল সংক্রমণ