Malbazar: তৈরি হয়নি সেতু, ঝুঁকি নিয়ে নদীর জলের উপর দিয়েই যেতে হয় পড়ুয়াদেরও...
Malbazar: গোবরাবস্তি, শালবাড়ি, মাথাচুলকা এলাকার বহু মানুষ ওই এলাকা হয়ে চালসা, মঙ্গলবাড়ি যান। মেটেলি ব্লক প্রশাসনের সমস্ত ব্লক কার্যালয় রয়েছে চালসায়। রোজ বহু লোক নানা কাজে ওই সব অফিসগুলিতে যান এই পথেই। রোজ বহু স্কুল পড়ুয়াকেও ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মালবাজার মহকুমার মেটেলি ব্লকের কৃষিপ্রধান বিধাননগর পঞ্চায়েতের গোবরাবস্তি ও চালসার মাটিয়ালি বাতাবাড়ি ১ নম্বর পঞ্চায়েতের গোয়ালডাঙা এলাকার কুর্তি নদীর উপর সেতু তৈরির জোরালো দাবি উঠেছে। জানা যায়, রোজ বহু মানুষ কুর্তি নদীর ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াত করেন। বিধাননগর পঞ্চায়েতের গোবরাবস্তি, শালবাড়ি, মাথাচুলকা প্রভৃতি এলাকার বহু মানুষ কুর্তি নদীর ওই এলাকা হয়ে চালসা, মঙ্গলবাড়ি যাতায়াত করেন। মেটেলি ব্লক প্রশাসনের সমস্ত ব্লক কার্যালয় রয়েছে চালসায়। রোজ বহু লোক নানা কাজে ওই সমস্ত অফিসগুলিতে যান এই পথেই। রোজ বহু স্কুল পড়ুয়াও ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াত করেন।
আরও পড়ুন: Bankura News: মাধ্যমিক পরীক্ষার শেষ দিনে ভাংচুর, খুনের হুমকি সহকারী প্রধান শিক্ষককে
এই মরসুমে নদীতে জল কম থাকায় বাইক, সাইকেল, টোটো ও ছোট গাড়ি অনায়াসেই নদী পার হয়। কিন্তু বর্ষায় নদীতে বেশি জল থাকায় সাধারণ মানুষকে ঘুরপথে শালবাড়ি মোড় ও বাতাবাড়ি ফার্ম বাজার এলাকা হয়ে যাতায়াত করতে হয়। ফলে সমস্যা হয়। বিধাননগরের বহু কৃষকও তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করার জন্য ওই পথেই চালসার মঙ্গলবাড়ি বাজারে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: John Barla: পূরণ হয়নি শ্রমিকদের দাবি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধর্ণায় রাজ্যের মন্ত্রী
নদীর ওই এলাকায় সেতু হলে এলাকার জনগণ, স্কুলপড়ুয়া-সহ কৃষকদেরও যাতায়াতের সুবিধা হবে। কয়েকজন বাসিন্দা জানান, রোজ নানান কাজে চালসায় যেতে হয়। এই মরসুমে নদীতে জল কম থাকায় যাতায়াতের কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু বর্ষায় নদীতে জল থাকায় প্রায় ১০-১২ কিমি ঘুরপথে যাতায়াত করতে হয়। এ বিষয়ে বিধাননগর পঞ্চায়েতের প্ৰধান জানান, ওই এলাকায় নদীর উপর সেতু তৈরির দাবির বিষয়ে বিধাননগর ও চালসার মাটিয়ালি বাতাবাড়ি ১ নম্বর পঞ্চয়েত যৌথভাবে রেজুলেশন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ২ বছর আগেই তা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, সেতু তৈরির জন্য ইতিমধ্যে মাটি পরীক্ষাও হয়ে গিয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মনও ওই এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছেন। তবে ঘটনাচক্রে এখনও সাধারণ মানুষের দাবি পূরণ হয়নি।