ফ্লেক্স-যুদ্ধে ছাড়া হবে না ‘সূচ্যগ্র মেদিনী’! জানান দিচ্ছে মেদিনীপুর
মেদিনীপুরের কলেজ মোড়ে আজ ‘কৃষক কল্যাণ সমাবেশে’ ভাষণ দেবেন মোদী। তবে তিনি যে কেবল কৃষকদের উদ্দেশেই বক্তৃতা দেবেন না তা ভালোভাবেই জানে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বড় বড় ব্যানার, ফেস্টুন, হোর্ডিং, তোরণে ছয়লাপ শহর। জেলাসদর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামের ওলিগলিতে কার্যত ‘গেরুয়াকরণ’ হয়েছে। রাস্তার দুধারে জোড়া ফুলের ব্যানার, পতাকা, ফ্লেক্সের পাল্টা অস্তিত্ব যেন প্রমাণ দিচ্ছে বিনা যুদ্ধে ছাড়া হবে না ‘সূচ্যগ্র মেদিনী’। সোমবার মেদিনীপুর শহর থেকেই ‘ভোটযুদ্ধের বাদ্যি’ বাজাতে আসছেন খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন প্রধানমন্ত্রীর সভা এই জেলায়। আর তাতে যে মেদিনীপুরের উত্তাপ কতটা উর্ধ্বমুখী, তা টের পাওয়া যাচ্ছে শহরে ঢোকার সাত-আট কিলোমিটার আগে থেকেই।
মেদিনীপুরের কলেজ মোড়ে আজ ‘কৃষক কল্যাণ সমাবেশে’ ভাষণ দেবেন মোদী। তবে তিনি যে কেবল কৃষকদের উদ্দেশেই বক্তৃতা দেবেন না তা ভালোভাবেই জানে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তাই পাল্টা জবাবও দিয়েছে তারা। শহর জুড়ে নমোর বিশাল কাট-আউট, হোর্ডিংকে টক্কর দিচ্ছে শাসকদলও। মোদীর ব্যানারের পাশেই তৃণমূলের ২১জুলাইয়ের তোরণ। হোর্ডিং-কাট আউট যুদ্ধে তাই মোদীকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ছে না তৃণমূল।
আরও পড়ুন: অগস্টে তৃণমূলকে 'সংখ্যা'য় চ্যালেঞ্জ ছুড়বেন অমিত শাহ!
মেদিনীপুর শহরে হেলিকপ্টারে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে গাড়িতে যাবেন সভামঞ্চে। বৃষ্টির জন্য হেলিপ্যাডে জমে রয়েছে জল। তা নিয়েও চিন্তায় রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা। মোদীর বঙ্গসফরকে টেক্কা দিতে তত্পর তৃণমূল। আজ সকাল থেকে দফায় দফায় বিক্ষোভ হচ্ছে মেদিনীপুর শহরে। মোদীর কুশপুতুল দাহ করা হয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলের পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগও ওঠেছে। যদিও এবিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র কটাক্ষ, ‘‘আসলে মোদীকে স্বাগত জানাতেই এসব করছে তৃণমূল।’’