Nadia: নিম্নমানের কাজের অভিযোগ, পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তার কাজে বাধা গ্রামবাসীদের
নদীয়ার তেহট্ট থানার মালিয়াপোতার এক নম্বর পঞ্চায়েতের অধীনে রাস্তার কাজ শুরু হয়। মালিয়াপোতা থেকে টেংরামারি ব্রিজ পর্যন্ত এই রাস্তা। তাতেই গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তা ঠিক করার কাজে বাধা দেয়। পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তা সারাইয়ের কাজ করার সময় মালিয়াপোতা পূর্ব পাড়ার দলমত নির্বিশেষে সকলে রাস্তার সারাইয়ে বাধা দেয়।
অনুপ কুমার দাস: পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তা সারাইয়ের ক্ষেত্রে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ। আরও বলা হয়েছে ১২ ফুট রাস্তা ছিল আগে যা এখন ১০ ফুটেরও কম চওড়া রাস্তা করছে দাবি। এই দাবি করে গ্রামবাসীরা কাজে বাধা দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয় বলে জানা গিয়েছে। রাস্তা তৈরিরর শুরু করেও বন্ধ করে দিয়ে চলে যেতে হয় ঠিকাদারকে।
নদীয়ার তেহট্ট থানার মালিয়াপোতার এক নম্বর পঞ্চায়েতের অধীনে রাস্তার কাজ শুরু হয়। মালিয়াপোতা থেকে টেংরামারি ব্রিজ পর্যন্ত এই রাস্তা। গ্রামবাসীরা কাজের শুরুতে খুশি হয়। তবে রাস্তার কাজ শুরু হলে দলগত নয় গ্রামবাসী সিডিউল দেখতে চায়। তা না দেখিয়ে ঠিকাদার এর কাছ থেকে জানে ৯ ফুট ১০ ইঞ্চি চওড়া রাস্তা সারাই হবে। একইসঙ্গে তিন ইঞ্চি উঁচু হবে রাস্তা।
তাতেই গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তা ঠিক করার কাজে বাধা দেয়। রাস্তা হোক এবং তা ভালো করে হোক। কোনও রকমে রাস্তা করে দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট পার করলে হবে না বলে তাঁদের দবি।
আরও পড়ুন: Purulia: প্রতিশ্রুতিই সার, আজও তীব্র জল সংকটে ভুগছে কোটলুই!
পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তা সারাইয়ের কাজ করার সময় মালিয়াপোতা পূর্ব পাড়ার দলমত নির্বিশেষে সকলে রাস্তার সারাইয়ে বাধা দেয়। সেই বাধা পেয়ে কার্যত কাজ বন্ধ করতে হলো ঠিকাদারকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য নিম্নমানের কাজ এবং রাস্তার আগেকার মাপ ঠিক না রেখে কাজ শুরু করে রাস্তা তৈরি হচ্ছিল। সিডিউল দেখতে চাইলেও দেখানো হয়নি। তাই কাজ বন্ধ করতে বাধ্য করিয়েছে এলাকার লোকেরা। এখন আপাতত রাস্তার কাজ বন্ধ। রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে গিয়েছিল। তা সমান করে চলাচলের মত করে দেয়।
বর্তমান প্রধান বলেন এটা পথশ্রী প্রকল্পের কাজ না মনে হয়। ব্লকের কাজ। গ্রামবাসী বাধা দেয় তাই কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ঠিকাদার। প্রাক্তন প্রধান বলেন ‘রাস্তা হোক, গ্রামবাসী যা জানতে চাইছে তা বলে দিলে আপত্তি কোথায়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কোনও রকমে রাস্তা করে পঞ্চায়েত ভোট পার করতে চাইলে হবে? জনগণ মানবে না। এই রাস্তা দিয়ে বড় বড় গাড়ি যায়। রাস্তা সঠিক মানের হওয়া উচিত বলে মনে করেন গ্রামবাসীরা’।