স্ত্রী এসেছিলেন দেখা করতে, তারপরই কোয়ার্টারে যে অবস্থায় পুলিসকর্তা দেখলেন প্রতিবেশীরা
বারাকপুরের লাটবাগানের পুলিস কোয়ার্টারে একাই থাকতেন বছর আটান্নর সুব্রত বোস। তিনি ক্যানিংয়ে ট্রাফিক এএসআই পদে কর্মরত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিয়ের পর থেকে একদিনও স্বামীর সঙ্গে থাকেননি স্ত্রী। কিন্তু ঘটনার দিনই পুলিস কোয়ার্টারে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তারপরই মহিলার চিত্কার শুনতে পান প্রতিবেশীরা। ঘরে ঢুকে এএসআইকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে যতক্ষণে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা, সেই ফাঁকেই কোয়ার্টার থেকে চম্পট দেন তাঁর স্ত্রী। বারাকপুর লাটবাগানে এএসআই-এর এর রহস্যমৃত্যুতে স্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে। কেন তিনি পালাতে গেলেন? তা নিয়েই ধন্দে পুলিস। তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করছে পুলিস।
বারাকপুরের লাটবাগানের পুলিস কোয়ার্টারে একাই থাকতেন বছর আটান্নর সুব্রত বোস। তিনি ক্যানিংয়ে ট্রাফিক এএসআই পদে কর্মরত ছিলেন। তদন্তে জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকে একদিনও তাঁর স্ত্রী সঙ্গে থাকেননি। শনিবার পুলিস কোয়ার্টারেই স্ত্রীর তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, শনিবার রাত ৮টা নাগাদ মহিলার চিত্কার শুনতে পান তিনি। তারপরই ছুটে গিয়ে দেখেন সুব্রত বোসের নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। তাঁকে উদ্ধার করে বিএন বোস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: তিন ছেলের বিয়ে দিয়েছেন, ঘরে নাতি রয়েছে, তবুও স্ত্রীকে নিয়ে সন্দেহ করতেন স্বামী! পরিণতি
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, এসবেরই মাঝেই স্বামীকে ফেলে চম্পট দেন তাঁর স্ত্রী। কিন্তু কেন তিনি পালিয়ে গেলেন, তা এখনও পরিষ্কার নয় পুলিসের কাছে সুব্রত বোসের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মাথায় ভারী বস্তুর আঘাতে খুন? নাকি এটা নিছকই দুর্ঘটনা, তারই তদন্ত চালাচ্ছে বারাকপুর থানার পুলিশ। এএসআই-এর মৃত্যু, মহিলার চিত্কার, স্ত্রীর পালিয়ে যাওয়া-এসবের মাঝে মিসিং লিঙ্ক পাচ্ছে পুলিস!