আশ্বিনের অকাল বৃষ্টিতেই বিদায় মৌসুমির
দক্ষিণবঙ্গে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির আশঙ্কা। তবে উত্তরবঙ্গে রোদ ঝলমলে আকাশ। আপাতত রাজ্য জুড়ে ভারী বৃষ্টির খবর নেই
নিজস্ব প্রতিবেদন: মন যেতে নাহি চায়। স্বর্ণযুগের একটি বাংলাগানের কলি। এ বারে মনসুন সিজনের অবস্থা দেখে এই গানের কথা মনে আসা স্বাভাবিক। কেননা যাই যাই করেও যেন যেতে পারছে না মৌসুমি ঋতু।
যদিও এ রাজ্য থেকে এ বার মৌসুমি বায়ুর বিদায়লগ্ন চলে এসেছে। তা সত্ত্বেও যাবার আগে যেন কিছু চিহ্ন রেখে যাওয়ার সাধ তার। অন্তত পূর্বাভাস দেখে তেমন মনে হওয়াটা আশ্চর্যের নয়।
দক্ষিণবঙ্গে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গে রোদ ঝলমলে আকাশের সুখবর। আপাতত রাজ্য জুড়ে ভারী বৃষ্টিরও কোনও খবর নেই।
কলকাতায় আজ আংশিক মেঘলা আকাশ। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় আর্দ্রতার হেরফের ঘটবে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দু-এক পশলা বৃষ্টিও হতে পারে। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৭ ডিগ্রি। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.২ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ মাত্রা ৯০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে বৃষ্টি হয়েছে ২১.৬ মিলিমিটার।
বিহার থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা আছে। এই অক্ষরেখা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ওড়িশার উপর দিয়ে বিস্তৃত। এ জন্য প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকবে বাংলায়। তার প্রভাবেই এই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির আশঙ্কা দক্ষিণবঙ্গে।
আজ এবং বুধবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। দু-এক পশলা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও বাড়বে।
তবে উত্তরবঙ্গে মূলত রোদ ঝলমলে আকাশ। সেখানে শরৎ হাজির। মাঝে মাঝে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। বৃহস্পতি ও শুক্রবারও অল্প বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই।
আগামীকাল ওড়িশায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবারও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। ভারী বৃষ্টি হবে অসম ও মেঘালয়ে। শুক্র ও শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নাগাল্যান্ড মণিপুর মিজোরাম ও ত্রিপুরায়।
বিহার অসংলগ্ন উত্তরবঙ্গে রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্ত থেকেই নিম্নচাপ অক্ষরেখা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলের পশ্চিম ও মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
দেশের উত্তর-পশ্চিম ভাগ থেকে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর বিদায়-পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজস্থান পাঞ্জাবের অধিকাংশ এলাকা থেকে বিদায় নিয়েছে বর্ষা। আগামী পাঁচ দিনে দিল্লি চণ্ডীগড় হরিয়ানা ইউপি-সহ উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলি থেকেও পুরোপুরি বিদায় নেবে বর্ষা।