Udayan Guha: 'জ্য়োতিবাবুর কোটায় ডাক্তার হয়েছেন সিপিএম নেতার ছেলে, চাকরি পেয়েছেন সুজনের স্ত্রী', বিস্ফোরক উদয়ন
Udayan Guha:এখানেই থেমে থাকেননি উদয়ন। নিশানা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বকলমে নিশানা করেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে। তৃণমূল নেতা বলেন, মিলি ভট্টাচার্য। নাম শুনেছেন? মিলি ভট্টাচার্য হলেন কমরেড সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী। কুণাল ঘোষ বলল, মিলি ভট্টাচার্যের চাকরি হয়েছে বাম আমলে। কিন্তু সত্যটা ফাঁস করে দিল একসময়ে সিপিএম নেতা সমীর পতিতুন্ড
দেবজ্যোতি কাহালি: নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় এখন জেলে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের জালে পড়েছেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষের মতো নেতা ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা। সবেমিলিয়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে যে প্রভাবশালী যোগ রয়েছে তা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এবার এনিয়ে পাল্টা সিপিএমকে নিশানা করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। শুধু তাই নয়, সরাসরি নিশান করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে।
আরও পড়ুন-বাতাসে অস্থিরতা, বহুবছর পর এপ্রিলেও রেকর্ড তুষারপাত সান্দাকফুতে
দিনহাটা বিধানসভার নয়াহাট বাজারে দলীয় এক সভায় জ্যোতি বসুকে নিশানা করেন উদয়ন। রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, জ্য়োতি বসু দুর্নীতি করেননি? জ্যোতি বসু বড় দুর্নীতি করেছেন। একটা সময় যখন বাংলায় মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আসন কম ছিল। জয়েন্ট এন্ট্রান্সে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতো। বহু ছেলে মেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক খুব ভালো ফল করার পরও জয়েন্ট পাস করতে না পারার জন্য ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পারতেন না। সেইসময় মুখ্যমন্ত্রীর কোটা ছিল ১০টা আসন ডাক্তারিতে আর ১০টা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। ভালো রেজাল্ট করে, জয়েন্ট পাস করেও অনেকে পড়তে পারেনি। অথচ তাদের বঞ্চিত করে দিনহাটার সিপিএম নেতা মানিক দত্তর ছেলে সেকেন্ড ডিভিশনে পাস করে আজ ডাক্তার হয়েছে জ্যোতিবাবুর কোটায়। জ্যোতিবাবু, দুর্নীতি করেননি আপনি!
এখানেই থেমে থাকেননি উদয়ন। নিশানা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বকলমে নিশানা করেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে। তৃণমূল নেতা বলেন, মিলি ভট্টাচার্য। নাম শুনেছেন? মিলি ভট্টাচার্য হলেন কমরেড সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী। কুণাল ঘোষ বলল, মিলি ভট্টাচার্যের চাকরি হয়েছে বাম আমলে। কিন্তু সত্যটা ফাঁস করে দিল একসময়ে সিপিএম নেতা সমীর পতিতুন্ড। তার হাত ধরেই রাজনীতিতে এসেছিলেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বললেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিপিএমের জেলা সভাপতি ক্ষুদিরাম ভট্টাচার্যের মেয়ে মিলি ভট্টাচার্যের সঙ্গে সুজন চক্রবর্তীর একটু আধটু সম্পর্ক ছিল। বিয়ে হবে। ক্ষুদিরাম ভট্টাচার্য দলের নেতাদের কাছে গিয়ে বললেন, সুজন তো কোনওদিন চাকরি করবে না। তাহলে মেয়ের বিয়ে হলে সংসার চলবে কী করে। পার্টির নেতারা বলল, কোনও চিন্তা নেই। অন্ড্রুজ কলেজে রাতারাতি সবাইকে বাদ দিয়ে মিলি ভট্টাচার্যকে চাকরি দিয়ে দেওয়া হল। এখন তিনি মিলি চক্রবর্তী। সুজন চক্রবর্তীর বউ। সুজনবাবু আপনি যখন মঞ্চে গিয়ে বলে বলেন যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের চাকরি দিচ্ছেন মমতা, তখন আপনি আপানার বউয়ের মুখটা আয়নায় দেখবেন।
উয়দন গুহর ওই বক্তব্য নিয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন, এরকম আবোলতাবোল বক্তব্যের কোনওৃ উত্তর তিনি দেবেন না। অন্যদিকে, এনিয়ে পাল্টা উদয়ন গুহ বলেন, সুজন উত্তর দেবে কী করে? আমি যখন বাবর কথা বলেছি তখন উত্তর দিল, অন্যান্য যখন কথা বলেছি তখন উত্তর দিল। আজ উত্তর দেবে না কেন? আসলে একেবারে মৌমাছির চাকে ঢিলটা লেগে গিয়েছে। এখন সুজন এখন আর মৌমাছির চাকের কাছে য়াওয়ার সাহস পাচ্ছে না।