কাজে অখুশি মমতা, দলীয় পদ খোয়ালেন মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাত
নিজস্ব প্রতিবেদন : দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর ধমক। সন্ধেয় অপসারণ। ঝাড়গ্রামে দলের জেলা সভাপতির পদ খোয়ালেন চূড়ামণি মাহাত। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব সামলাবেন অজিত মাইতি। ঝাড়গ্রামে দলের কার্যকরী সভাপতি হলেন চূড়ামণি মাহাত ও সুকুমার হাঁসদা।
ঝাড়গ্রামের প্রথম প্রশাসনিক সভায় চূড়ামণি মাহাতকে তুলোধোনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আদিবাসী অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ মন্ত্রী। গোপী বল্লভপুরের বিধায়ক। ঝাড়গ্রামের দাপুটে নেতা। এমন প্রোফাইলের চূড়ামণি মাহাতর ওপর কেন অগ্নিশর্মা মুখ্যমন্ত্রী? উত্তরটা লুকিয়ে জেলার পারফরম্যান্সে।
নতুন তৈরি হওয়া ঝাড়গ্রাম উন্নয়নের নিরিখে বাকিদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। সরকারি প্রকল্পের কাজ কর্ম নিয়ে একেবারেই খুশি নন মুখ্যমন্ত্রী। আমলা ও প্রতিনিধিদের দড়িটানাটানিতেই এমন হাল। প্রথম প্রশাসনিক বৈঠকে সেটা বুঝিয়েও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সতর্ক করেছেন দুপক্ষকেই।
একদিকে পারফরম্যান্সে ঘাটতি,অন্যদিকে দুনীর্তির অভিযোগ। গত কয়েক বছরে আদিবাসী অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, মন্ত্রী হওয়ার পর নীচু তলার কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না চূড়ামণি। প্রশাসনিক সভায় সতর্ক করার পরই সন্ধেয় দলের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
ঝাড়গ্রামে দলের জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় চূড়ামণি মাহাতকে। চূড়ামণির জায়গায় ঝাড়গ্রামে দলের দায়িত্ব সামলাবেন অজিত মাইতি।
অজিত মাইতি পশ্চিম মেদিনীপুরে দলের জেলা সভাপতি। চূড়ামণি মাহাত ও সুকুমার হাঁসদা ঝাড়গ্রামে দলের কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন। পাশাপাশি উঠে আসছে আরও এক তত্ত্ব। চূড়ামণি মাহাত বরাবরই মুকুল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। জেলা সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরানোর এটাও একটা কারণ বলে মত রাজনৈতিক মহলের।