Zee 24 Ghanta Impact: অবশেষে মিটল সমস্যা, বাঁকুড়ার দুটি স্কুলে ফের চালু মিড-ডে মিল
ওই দুটি স্কুলেই পড়ুয়ার সংখ্যা তলানিতে। ফলে মিড-ডে মিলের রাঁধুনির সংখ্যাও দুই থেকে কমিয়ে এক করে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে বেতনও! কিন্তু মাত্র পাঁচশো টাকায় রান্নার কাজ করতে রাজি ছিলেন না স্বনির্ভর গোষ্ঠী মহিলারা।
![Zee 24 Ghanta Impact: অবশেষে মিটল সমস্যা, বাঁকুড়ার দুটি স্কুলে ফের চালু মিড-ডে মিল Zee 24 Ghanta Impact: অবশেষে মিটল সমস্যা, বাঁকুড়ার দুটি স্কুলে ফের চালু মিড-ডে মিল](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/03/21/411917-school.png)
মৃত্যুঞ্জয় দাস: জি ২৪ ঘণ্টার খবরের জের। বাঁকুড়া শহরের দুটি স্কুলের অবশেষে চালু হল মিড-ডে মিল। কীভাবে? বাঁধুনিদের দাবিমতো বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাঁকুড়া শহরের বাগদীপাড়া ইন্দ্রা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লালবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একসময়ে পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল ৬০-র বেশি। স্কুল পিছু মিড-ডে রান্নার দায়িত্বে ছিলেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দুই সদস্য। মাসে দেড় হাজার করে বেতন পেতেন ওই দু'জন। কিন্তু এখন দুটি স্কুলেই পড়ুয়াদের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে কমেছে। ফলে মিড-ডে মিলের রাঁধুনির সংখ্যাও দুই থেকে কমিয়ে এক করে দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।
কেন? সরকারি বরাদ্দ মাসে দেড় হাজার টাকা। অথচ স্কুলের মিড-ডে রান্না করছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ৩ সদস্য! শুধু তাই নয়, দেড় হাজার টাকাই ভাগ করে নিতে হচ্ছে তাঁদের। কিন্তু মাত্র পাঁচশো টাকায় রান্নার কাজ করতে রাজি নন মহিলারা। ফলে একমাস ধরে মিড-ডে মিল বন্ধ ছিল দুটি স্কুলেই। প্রতিবাদে স্কুল ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন অভিভাবকরা।
আরও পড়ুন: Ketugram School: স্কুল আছে; নেই একজনও পড়ুয়া, শিক্ষকরা এসে কী করেন জানেন?
এই খবর জি ২৪ ঘণ্টায় সম্প্রচারিত হওয়ার পর নড়েচড়ে স্থানীয় প্রশাসন। স্কুলে যান বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান। বাঁধুনিদের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পাঁচশো টাকা নয়, দুটি স্কুলেই মিড-ডে মিল রান্নার জন্য় মাসে হাজার টাকা করে দেওয়া হবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের। এরপরই সমস্যা মেটে।