ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে রাজ্যকে বলা হয়েছিল, ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে অবিলম্বে রিপোর্ট পাঠাতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পশ্চিমবঙ্গে ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে আজ বৃহস্পতিবার চার সদস্যের কেন্দ্রীয় দল এসে পৌঁছল রাজ্যে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA) তথ্য-অনুসন্ধানকারী যে দল (fact finding team) রাজ্যে পাঠিয়েছে তা একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ঘুরে দেখবে রাজ্যের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গা। সঙ্গে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী (CRPF)। ইতিমধ্যেই দলটি কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছে।
জানা গিয়েছে, দলটি প্রথমে যাবে বেলেঘাটা। তার পর যাবে জগদ্দল। এরপর দলটি একে একে সাতগাছিয়া, নোদাখালি, ক্যানিংয়ের মাতলা-১ ও মাতলা-২-এর বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল, পাঠানখালি, গোসাবা এবং কুলেশ্বর ঘুরে দেখবে বলে ঠিক হয়ে আছে।
আরও পড়ুন: বিধানসভায় শপথ গ্রহণ শুরু নির্বাচিত বিধায়কদের
প্রসঙ্গত, ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্য--কেন্দ্র চাপানউতোর চলছিলই। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার একটি টুইট করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। নির্বাচন-পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গে কেন বিরোধী দলের কর্মীরা বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের নবনির্বাচিত সরকারকে এ নিয়ে বুধবারই এক কড়া বার্তা পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রাজ্যকে বলা হয়েছিল, ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে অবিলম্বে রিপোর্ট পাঠাতে হবে। না পাঠালে বিষয়টি তাদের তরফে গুরুতর ভাবেই দেখা হবে। সম্প্রতি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ফোন করে বিষয়টি নিয়ে তাঁর কাছে উদ্বেগও প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদী (narendra modi)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata baneerjee) তৃতীয়বারের জন্য শপথ নেওয়ার দিনেই রাজ্যে রক্তপাত থামানোর দাবিতে ধর্নায় বসেছিল রাজ্য বিজেপি (bjp)। সেই ধর্নায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। এর পরই তদন্তের জন্য এই দল পাঠাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
তৃণমূলও দাবি করেছে, এই হিংসায় তাদের দলীয় কর্মীরাও মারা গিয়েছেন। এবং মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার করে বলেছেন, যে কোনও মূল্যে হিংসা থামানো হবে।
তবে, এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফে এই কেন্দ্রীয় অনুসন্ধানকারী দলের আসা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। এ-ও জানা যায়নি, বিষয়টি নিয়ে আদৌ তারা আগে থেকে অবগত ছিল কিনা। সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা এ প্রসঙ্গে মনে করাচ্ছেন, গত বছর করোনা সংক্রমণ-পর্বে এ ভাবেই রাজ্যে করোনা-পরিস্থিতি সরেজমিন খতিয়ে দেখতে একটা বিশেষ দল পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যা নিয়ে তখন দুই প্রশাসনের মধ্যে মতভেদ ও মনোমালিন্য দেখা গিয়েছিল। আবারও কি সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে?
আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেনের পর লালগোলা সহ বন্ধ হল দূরপাল্লার ট্রেন, জেনে নিন তালিকা