স্ত্রী-সন্তানকে ফেরত আনতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার, পুলিসের হস্তক্ষেপে প্রাণে বাঁচলেন যুবক
শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হলেন জামাই। স্ত্রী-সন্তানকে শ্বশুরবাড়ি থেকে আনতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে বেধড়ক মার খেলেন গোয়ালপোখরের এক যুবক। মারধরের সেই দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। ঘটনা উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর থানার বোয়ালমারি গ্রামের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হলেন জামাই। স্ত্রী-সন্তানকে শ্বশুরবাড়ি থেকে আনতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে বেধড়ক মার খেলেন গোয়ালপোখরের এক যুবক। মারধরের সেই দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। ঘটনা উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর থানার বোয়ালমারি গ্রামের।
আরও পড়ুন-প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ায় প্রাণনাশের হুমকি, অভিযোগ কৌশিক সেনের
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে সোলপাড়া এলাকার পিতুশ মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় বোয়ালমারির আদরি বিশ্বাসের। তাদের একটি সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর স্ত্রীকে শিলিগুড়িতে রেখে কর্মসূত্রে কলকাতায় চলে যান পিতুশ। এনিয়েই বিবাদ শুরু। তার জেরেই বাড়ি ফিরে আসেন আদরি। সোমবার স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে আনতে যান পিতুশ।
আরও পড়ুন-নতুন মুখ কই? সংগঠনের নুন আনতে পান্তা ফুরোয় দশা দেখে ক্ষুব্ধ ইয়েচুরি
পিতুশের পরিবারের অভিযোগ, ধারলো অস্ত্র নিয়ে তার ওপরে চড়াও হন তার শ্বশুর। সেই অস্ত্র কেড়ে নিতে গিয়ে হাত কেটে যায় শ্বশুরের। এর পরই পাড়ার লোকজন তার ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পিতুশকে বাঁশ, কাঠের বাটাম, ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘিরে ধরে জানোয়ারের মতো মারধর করে। পিতুশকে উদ্ধার করে ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিস।
বুধবার এনিয়ে গোয়ালপোখর থানায় অভিযোগ জানান পিতুশ মণ্ডল। তবে তার শ্বশুর নিখিল বিশ্বাসের অভিযোগ, বাড়ি থেকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপরে হামলা চালায় পিতুশ।