প্রাণপ্রিয় ২ পোষ্য সারমেয়কে গুলি করে খুনের পর বাড়ির দোনলা বন্দুকে আত্মঘাতী মালিকও!

কিছুদিন যাবত্ দেনার দায়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন শুভঙ্কর। এর উপর সময়মতো কিস্তির টাকা না দেওয়ায় বুধবার তাঁর অটোটি বাজেয়াপ্ত করে নেয় ঋণপ্রদানকারী অর্থলগ্নি সংস্থাটি।

Updated By: Jul 18, 2019, 09:41 AM IST
প্রাণপ্রিয় ২ পোষ্য সারমেয়কে গুলি করে খুনের পর বাড়ির দোনলা বন্দুকে আত্মঘাতী মালিকও!

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেনার দায়ে মানসিক অবসাদ। আর সেই অবসাদ থেকে প্রথমে নিজের দুই পোষ্যকে গুলি করে খুন। তারপর নিজের বন্দুকের গুলিতে আত্মঘাতী হলেন এক ব্যক্তি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে।

এদিন ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই গুলির শব্দে ঘুম ভেঙে যায় জয়নগর থানার নারায়ণীতলার চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দাদের। ঘুম চোখে তড়িঘড়ি বাইরে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। খোঁজ নিয়ে জানেন, ওই পাড়ার বাসিন্দা শুভঙ্কর রায়চৌধুরীর বাড়ি থেকে ওই আওয়াজ পাওয়া গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই শুভঙ্কর রায়চৌধুরীর বাড়িতে ছুটে আসেন স্থানীয়রা।

বাড়ির মধ্যে ঢুকে তাঁরা দেখেন, ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে শুভঙ্কর রায়চৌধুরী ও তাঁর দুই পোষ্য সারমেয়। মৃতদেহের পাশেই পড়ে একটি দোনলা বন্দুক। ঘরের মেঝে রক্তে ভেসে যাচ্ছে। শুভঙ্কর রায়চৌধুরীর স্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি উপরের ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। সকালে গুলির শব্দ পেয়ে নীচে নেমে আসেন। নীচে নেমে দেখতে পান, স্বামী শুভঙ্কর রায়চৌধুরী ও দুই পোষ্য ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছটফট করছে। দুই পোষ্যকে মেরে শুভঙ্কর রায়চৌধুরী নিজেও আত্মঘাতী হয়েছেন বলে জানান তিনি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে জয়নগর থানার পুলিস। দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানিয়েছে, শুভঙ্কর রায়চৌধুরী পেশায় অটোচালক। তাঁর বাবার নামে লাইসেন্স করা ওই বন্দুকটি দীর্ঘদিন  ধরেই তাঁদের বাড়িতে আছে। কিছুদিন যাবত্ দেনার দায়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন শুভঙ্কর। এর উপর সময়মতো কিস্তির টাকা না দেওয়ায় বুধবার তাঁর অটোটি বাজেয়াপ্ত করে নেয় ঋণপ্রদানকারী অর্থলগ্নি সংস্থাটি।

আরও পড়ুন, স্কুলে পড়ুয়াদের লাগাতার যৌন হেনস্থা! শিক্ষককে 'বিবস্ত্র' করে মার, থানায় নিয়ে গেল জনতা

এরফলে মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়েন শুভঙ্কর। মা, বোন, স্ত্রী ও তিন বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে সংসারে তিনি-ই ছিলেন একমাত্র উপার্জনকারী। একদিকে দেনা, অন্যদিকে অটোটিও হাতছাড়া হওয়ায় একদম মুষড়ে পড়েন। আর সেটাই তাঁকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। বন্দুকটির লাইসেন্স ও অন্যান্য কাগজপত্রও খতিয়ে দেখছে।

.