'প্রার্থী দেখবেন না, এটা আমার ভোট', একুশে ফিরলেন ষোলোর Mamata
২০১৬ সালের মতো একুশের ভোটের আগে ফের নিজের ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মায় ভরসা মমতার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: '২৯৪টি কেন্দ্রে আমিই প্রার্থী।' গত বিধানসভা ভোটের তৃণমূল নেত্রীর সেই কথাই ফিরল ৫ বছর পরে। আবার একটা বিধানসভা ভোট। তার আগে মালদহের কর্মিসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বার্তা, ' প্রার্থী কে হল দেখার দরকার নেই। এটা আমার ভোট।' অর্থাৎ চুম্বকে বার্তা, প্রার্থী দেখার দরকার নেই এই নির্বাচন মুখ্যমন্ত্রী বাছার। তৃণমূলকে ভোট দিলে মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যাদবপুরের প্রথম লোকসভা ভোট হোক বা যুব কংগ্রেস নেত্রীর ব্রিগেড সমাবেশ- নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জনপ্রিয়তা আজও প্রশ্নাতীত। বস্তুত, রাজ্য রাজনীতিতে এখনও মমতার (Mamata Banerjee) মতো 'ক্রাউডপুলার' অদ্বিতীয়। সেই ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মাতেই নারদা, সারদার মতো ভয়ঙ্কর অভিযোগকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে তৃণমূলকে দুশো পার করিয়েছিলেন দলনেত্রী। ২০১৬ সালে নারদায় যখন দলের নেতা-মন্ত্রীরা অভিযুক্ত তখন মমতা বলেছিলেন,'২৯৪টি কেন্দ্রে আমিই প্রার্থী।' তৃণমূল নেত্রীর সেই বার্তা কতটা কার্যকর হয়েছিল, তা ভোটের ফলেই প্রমাণিত।
২০১৬ সালের মতো একুশের ভোটের আগেও একের পর এক নেতা দল ছাড়ায় অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। কাটমানি, আমফান দুর্নীতি, চাল চুরি ইত্যাদি অভিযোগে লাগাতার শাসক দলকে বিঁধছেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi), অমিত শাহরা (Amit Shah)। এই প্রেক্ষাপটে নিজেকেই 'বাজি' রাখলেন দলনেত্রী। মালদহের কর্মিসভায় তিনি বললেন,'মনে রাখবেন, এটা আমার ভোট। অন্য কারও ভোট নয়। আপনার ভোটটা আমাকে দেবেন। প্রার্থী কে হল দেখার দরকার নেই।'
আরও পড়ুন- পদ্মশ্রী 'বাইক অ্যাম্বুলেন্স দাদা' করিমুল হকের নামে ডাকটিকিট
তবে শুধু মমতাই নয়, রাজনীতিতে নিজেদের ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মা কাজে লাগিয়েছেন 'লার্জার দ্যান লাইফ' নেতানেত্রীরা। বেশিদূর পিছনে হাঁটতে হবে না, ২০১৯ সালে 'নমো এগেন' বলে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বিজেপি। বিরোধী শিবিরে নরেন্দ্র মোদীর মতো শক্তিশালী নেতা আর কেউ নেই বলে জোর প্রচারও করেছিলেন দলের নেতানেত্রীরা। ভোটের 'ন্যারেটিভ' হয়ে দাঁড়িয়েছিল, মোদী বনাম অন্যান্যরা। সেই কৌশলেই সম্ভবত এবার হাঁটছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও। কারণ, এনিয়ে তো কোনও সংশয় নেই, মমতার মতো মুখ বঙ্গ বিজেপির নেই। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, মোদীকে প্রধানমন্ত্রী চেয়ে যে ভোটার বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল, তিনিই মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী চেয়ে তৃণমূলকে ভোট দেবেন। এখানে কে প্রার্থী তা বিবেচ্য নয়। সেই কৌশলই সম্ভব নিলেন মমতা।
আরও পড়ুন- রজঃস্বলা হলেই স্বেচ্ছা-বিয়ের অধিকারী মুসলিম মেয়েরা, রায় আদালতের