ডিসেম্বরে ধামাকা; অশান্তির চেষ্টা চলছে, নদীয়ায় বিস্ফোরক মমতা
তিনি বলেন সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে হবে। পাশাপাশি বিএসএফ বাড়াবাড়ি করছে কিনা সেটাও দেখতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে যখন এই কথা বলছেন তখন এর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। পাশাপাশি তাঁর কাছে সুনির্দিষ্ট খবর না থাকলে তিনি এই কথা বলতেন না বলেও মনে করা হচ্ছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নদীয়া সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সফরে বৃহস্পতিবার ছিল প্রশাসনিক বৈঠক। আর এই বৈঠক থেকেই বিস্ফোরক দাবি করেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন ডিসেম্বর মাসে ধামাকা অশান্তির চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ঘটনার প্ল্যান চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। স্পর্শকাতর এলাকায় নজরদারি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘কমিউনাল পকেটগুলো এখন থেকে দেখে রাখুন। কেউ কেউ প্ল্যান করেছে ডিসেম্বর থেকে ধামাকা মান কমিউনাল যুদ্ধ লাগাবে। কর্ণাটকে ইতিমধ্যেই লাগিয়েছে। এটাই একমাত্র পথ। এটা বাঁচার পথ নয়। চৈতন্যদেবের জায়গায় দাঁড়িয়ে বলছি এটা শান্তির পথ’।
প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে যখন এই কথা বলছেন তখন এর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। পাশাপাশি তাঁর কাছে সুনির্দিষ্ট খবর না থাকলে তিনি এই কথা বলতেন না বলেও মনে করা হচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন সময়ে অশান্তির খবর পাওয়া যায়। একইসঙ্গে এই জেলায় সংখ্যালঘু মানুষের সংখ্যাও অনেক।
একই সঙ্গে ভোটার লিস্ট এবং সিএএ প্রসঙ্গে ফের সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক থেকে তিনি বলেন ভোটার তালিকা নিয়ে চক্রান্ত চলছে। সীমান্ত এলাকার জেলা শাসক এবং পুলিস সুপারদেরকে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি তিনি এই বৈঠক থেকে সতর্ক করে দিয়ছন যে ভোটার তালিকায় সকলকে নাম তুলতে হবে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগেও সরব হয়েছেন তিনি। তিনি সতর্ক করে বলেন ভোটার তালিকা থেকে কারোর নাম যেন বাদ না যায়। বর্ডার এলাকায় খেয়াল রাখতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন অন্য লোক বলে কারোর নাম বাদ না যায়। অন্য রাজ্যে ৩০ শতাংশ নাম বাদ দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন এই ঘটনা থেকে থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
তিনি বলেন সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে হবে। পাশাপাশি বিএসএফ বাড়াবাড়ি করছে কিনা সেটাও দেখতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Kunal Ghosh In Nandigram: মঞ্চে সুফিয়ান কেন, নন্দীগ্রামে শহিদস্মরণ অনুষ্ঠানে কুণালের সামনেই হাতাহাতি
বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত খরচ হলে বিদ্যুতের বিল দিতে হয়না। তার বেশি যাদের ইউনিট খরচ হয় তাদের বকেয়া থাকলে বিলের ৫০ শতাংশ দিতে হবে। তাহলেই বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা তুলে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র টাকা দিচ্ছেনা। কিন্তু বসে থাকলে হবেনা। পঞ্চায়েত সমিতিগুলোকে বলছি কাজটা চালিয়ে যেতে হবে’। তিনি বলেন, ১০০ দিনের কাজ নিজেরা চেষ্টা করে, বিভিন্ন দফতরকে দিয়ে ২৮ লক্ষ কাজে লাগানো হয়েছে বলেন তিনি।
পুরসভাগুলিকে তিনি নির্দেশ দেন যাতে ১০০ দিনের কাজ যারা করেন তাদেরকে কাজে লাগান হয়। পাশাপাশি জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতি যে টাকা পাচ্ছে তা দিয়ে রাস্তা তৈরির নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, কৃষ্ণনগরের সার্কিট হাউসে একটা রাস্তা করার পর ভেঙ্গে পড়েছে। পিডব্লিউডি কেন দেখেনি সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন যারা রাস্তা বানিয়েছে তাদেরকেই ঠিক করে দিতে হবে। নাহলে তাদেরকে ব্ল্যাক লিস্ট করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
তিনি বৈঠক থেকে জানিয়েছেন দুয়ারে সরকার চলছে। সেখানে ডেঙ্গু নিয়ে সতর্কতা করতে হবে। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।