Mamata Banerjee: স্থায়ী সমাধানে প্ল্যান দিন, পাহাড়ের নেতাদের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
সরাসরি পাহাড়ের নেতা অনীত থাপা, রোশন গিরিদের কাছেই পাহাড়ের সমস্যার স্থায়ি সমাধান চান তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তরবঙ্গ সফরের তৃতীয় দিনে মঙ্গলবার কার্শিয়ং-এ প্রশাসনিক বৈঠকে পাহাড়ে শান্তি ফেরানোর বিষয়ে জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে অনীত থাপা এবং রোশন গিরি উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না বিমল গুরুং।
প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন কেন রক্ত ঝড়বে পাহাড়ে? তিনি অশান্তির পক্ষে নন। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে থেকেই পাহারের উন্নতি করতে চান বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন যে তৃণমূল ছাড়া কিছু দল আছে যারা ভোটের আগে পাহাড়ে আসে এবং নতুন রাজ্য গঠন সহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেয়। তিনি আরও বলেন যে ভোটের পরেই এদের আর দেখা পাওয়া যায়না। এদের মূল লক্ষ্য পাহাড়ের মানুষকে ভাগ করে দেওয়া এমনটাই মনে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপরেই তিনি সরাসরি পাহাড়ের নেতা অনীত থাপা, রোশন গিরিদের কাছেই পাহাড়ের সমস্যার স্থায়ি সমাধান চান। তিনি বলেন যে পাহাড় সমস্যার স্থায়ি সমাধানে যেন তারা একটি প্লান করে দেন। সেই প্লানের বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ করবেন আগামি দিনে এই কথা জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Kalimpong: বৃষ্টি-ধসে তছনছ কালিম্পং; জলহীন বহু গ্রাম, সমস্যা মেটাতে কাজে নেমে পড়ল এলাকাবাসী
পাহাড়ের ছেলে মেয়েরা যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে সেই সুযোগ করে দিতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি। পাহাড়ে প্রচুর সুযোগ আছে বলে জানান তিনি। কিন্তু একই সঙ্গে বলেন যে প্রতি দশ বছরে একটি করে মুভমেন্টের পরে সব সম্ভাবনা ধংস হয়ে যায় এবং কেউ আসতে চায়না বলে জানিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন বাংলার মধ্যে থাকলেই উন্নতি হবে পাহাড়ের। এই অঞ্চলে বিভাজনের রাজনিতি চলবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। দার্জিলিং-এ আইটি হওয়া সম্ভব বলেও মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। সবাই মিলে বসে দার্জিলিং-কে উন্নত করার প্লান করার জন্য আহবান জানান তিনি। ২০২৩ সালের মধ্যে সব বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন তিনি। পাহাড়ের মানুষ ব্যাবসায় বিনিয়োগ করলে সেক্ষেত্রেও সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
GTA-র নির্বাচন সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে ভোটার তালিকা তৈরির কাজ শেষ হলেই GTA নির্বাচন করবে রাজ্য। পাহাড়ে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে চায় সেখানকার দলগুলো। সেক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধন করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সংবিধান সংশোধন করা সম্ভব না হলে দ্বিস্তরীয় নির্বাচনের প্রস্তাব দেন রোশন গিরি।