'খুলছে চা বাগান, চালু করা হচ্ছে ট্যাক্সিও... লকডাউন বাড়লে মানবিকভাবেই পালন করা হবে'
"১৫ তারিখের পর লকডাউন মনে হয় বাড়বে। কিন্তু মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে কী করে সেটাকে পালন করা যায়, সবার কথা ভেবে সেটা আমাদের ভাবতে হবে।"
নিজস্ব প্রতিবেদন : চা বাগান খোলার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এদিন নবান্নে বণিক সংগঠন বেঙ্গল চেম্বার্স অফ কমার্সের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী চা বাগান খোলার কথা ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কারখানাগুলি খোলার কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে জায়গা বিশেষে জরুরি ভিত্তিতে আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে ট্যাক্সি সার্ভিস চালু করা হবে বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "লকডাউন ভাঙা যাবে না। এটা বাড়ছে। তবে হোম ডেলিভারির মাল পৌঁছে দেওয়ার জন্য কিছু কিছু জায়গায় ট্যাক্সির ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে এটা হয়ে যাবে। ২ জন করে ট্যাক্সিতে যেতে পারবেন।" লকডাউন নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বণিক সংগঠনগুলিকে এগিয়ে আসতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, "আপনারা এক-একটা বাজারের দায়িত্ব নিন এক-একজন, সচেতন করার দায়িত্ব নিন।"
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী জানান, চা বাগানগুলি খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রোটেশন করে ১৫ শতাংশ কর্মীকে কাজ করানো যাবে। চা পাতা কাটার জন্য-ই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে যে সমস্ত সংস্থা বা কারখানা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, তাদের জন্যও ছাড়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ১৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে তিনটি শিফটে কাজ চালাতে পারবে তারা। তবে চা শ্রমিক থেকে কারখানা শ্রমিক, প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই যথাযথ স্যানিটাইজিং আবশ্যিক বলে সতর্ক করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একইসঙ্গে এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকারি লাইসেন্সের অনুমোদন রিন্যু করার সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে। ৩১ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে মেয়াদ। পাশাপাশি, বিগ বাজার, অ্যামাজন সহ আরও অনেক সংস্থা যারা অনলাইনে জিনিস বিক্রি করে, তারা নিজেদের ডেলিভারি বয় কাজে লাগিয়ে স্থানীয় স্তরে পণ্যসামগ্রী ডেলিভারি করতে পারবে। এই বিষয়ে স্থানীয় পুলিস তাদের সহযোগিতা করবে।
উল্লেখ্য, ১৪ এপ্রিলের পর লকডাউনের সময়সীমা বাড়বে কিনা, সেই বিষয়ে কেন্দ্র এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি। এই প্ররিপ্রেক্ষিতে এদিন মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্ট জানান, "লকডাউন হয়তো থাকবে। কিন্তু মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে কী করে সেটাকে পালন করা যায়, সবার কথা ভেবে সেটা আমাদের ভাবতে হবে। ১৫ তারিখের পর লকডাউন মনে হয় বাড়বে। সেটা কেন্দ্রীয় সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা সেক্ষেত্রে সহযোগিতা করে চলব।"
আরও পড়ুন, রাজ্যে কার কোথায় জ্বর হয়েছে? করোনা মোকাবিলায় নয়া 'সন্ধানে' অ্যাপ আনল সরকার