Malda: জমি অধিগ্রহণ না করেই আর্সেনিক মুক্ত প্ল্যান্ট! জল প্রকল্প ঘিরে বিতর্ক...

জল জীবন মিশন প্রকল্পের মাধ্যমে আর্সেনিক মুক্ত প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে রতুয়ার বালুপুর নাকাট্টি ব্রিজের কাছে। এই প্ল্যান্টের মাধ্যমে ফুলহর নদী থেকে জল টেনে পরিশোধন করা হবে। তারপর রতুয়া ১ ও ২ এবং চাঁচল ২ ব্লক এলাকায় সেই আর্সেনিক মুক্ত জল সরবরাহ করা হবে।

Updated By: Jan 20, 2024, 12:21 PM IST
Malda: জমি অধিগ্রহণ না করেই আর্সেনিক মুক্ত প্ল্যান্ট! জল প্রকল্প ঘিরে বিতর্ক...

রণজয় সিংহ : জমি অধিগ্রহণ না করেই শুরু হয়েছে আর্সেনিক প্ল্যান্টের জল প্রকল্প তৈরীর কাজ। আর সেই কাজ ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। মালদার রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের দেবীপুর অঞ্চলে ১৫ দিন আগে সেই কাজের সূচনা হয়। সেখানে প্রায় ১৩ একর অর্থাৎ প্রায় ৪০ বিঘা জমির উপর এই প্রকল্প স্থাপিত হবে। তবে এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, তাদের জমি অধিগ্রহণের কোনও প্রক্রিয়া না করেই জোরপূর্বক জমি ঘিরে কাজ শুরু করেছে পিএইচই দপ্তর। ন্যায্য মূল্য না পেলে জমি দিতে নারাজ তারা। আর এমন অবস্থায় আর্সেনিক প্ল্যান্টের জল প্রকল্প সম্পূর্ণ করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাকাট্রি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় শাসকদলের কিছু দালালের সাথে যোগসাজস করে পিএইচই দপ্তরের কর্তারা কৃষকদের সাদা কাগজে সই করে নিচ্ছেন বলে কৃষকদের অভিযোগ। কৃষকদের বক্তব্য, জোরপূর্বক জমি এইভাবে নেওয়া যাবে না। আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলের প্রকল্প এলাকায় হোক। তবে সেক্ষেত্রে জমির উপযুক্ত দাম দিতে হবে। তাই কৃষকরা রীতিমতো আন্দোলনে নেমেছেন এলাকায়। এই জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। উত্তর মালদা বিজেপির সংসদ খগেন মুর্মু বলেন, পশ্চিমবাংলায় জোরজুলুম বাজি চলছে। জমি অধিগ্রহণ না করে কারও জমিতে কোনও প্রকল্পের কাজ করা যায় না। এরা কাউকে কোনও অধিকার দিতে চায় না। এরা সব সময় জোরজুলুম করে অধিকার পেতে চায়।

রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অজয় কুমার সিনহা আবার জানান, আর্সেনিক প্ল্যান্টের প্রকল্পের জন্য কৃষকরা নিজেরাই স্বেচ্ছায় জমি সরকারকে দিচ্ছে। এখানে জোরপূর্বকভাবে কেউ জমি অধিগ্রহণ করেনি। কৃষকদের জমির নায্যমূল্যও দেওয়া হচ্ছে। জেলা পিএইচই দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মহম্মদ মুস্তাফা জানিয়েছেন, জল জীবন মিশন প্রকল্পের মাধ্যমে রতুয়ার বালুপুর নাকাট্টি ব্রিজের কাছে আর্সেনিক মুক্ত প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে। ফুলহর নদী থেকে জল টেনে সেখানে পরিশোধন করা হবে। এরপর রতুয়া ১ ও ২ এবং চাঁচল ২ ব্লক এলাকায় জল সরবরাহ করা হবে। বালুপুর নাকাট্টি কাট্টা রোড এলাকায় জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। জমির মালিকদের অনুমতি নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। আমাদের মিশন মোডে কাজ হচ্ছে। তাই একটু দেরি হচ্ছে। সরকারি নিয়ম মেনে জমির মালিকরা নিজেদের প্রাপ্য অবশ্যই পাবেন। জমি মালিকদের প্রত্যেককে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। যাদের জমি নেওয়া হবে তারা কেউ বঞ্চিত হবেন না।

আরও পড়ুন, Malda: অ্যাডমিট জাল করে অসুস্থ স্ত্রীর হয়ে পরীক্ষায় স্বামী! শেষে...

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.