বিয়ের পর প্রথম আবদার, অক্ষরে অক্ষরে মেনে স্ত্রীর মুখে হাসি ফোটালেন স্বামী

শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার আগে বাপেরবাড়িতে যখন সবাই নবদম্পতির সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য আশীর্বাদ করছেন, তখনই স্বামীর কাছে আবদারটা করেন সদ্য বিবাহিত মৌ।

Updated By: Apr 29, 2019, 01:32 PM IST
বিয়ের পর প্রথম আবদার, অক্ষরে অক্ষরে মেনে স্ত্রীর মুখে হাসি ফোটালেন স্বামী

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিয়ের পর স্বামীর কাছে প্রথম আবদার স্ত্রীর। আর তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীর মুখে হাসি ফোটালেন স্বামী। শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার আগেই লাল বেনারসি-ওড়না, সোনার গয়না, বরমালায় সেজে নতুন বউ হাজির হল ভোটকেন্দ্রে। প্রয়োগ করলেন নিজের ভোটাধিকার। স্ত্রীর ইচ্ছার পাশে থেকে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করলেন স্বামী। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় ক্যামেরাবন্দি হয়েছে বর-বউয়ের সাজে নবদম্পতির ভোটদানের সেই ছবি।

কাটোয়ার গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা মৌ পোদ্দার। অন্যদিকে, কাটোয়ারই পঞ্চাননতলার বাসিন্দা অভিজিত দত্ত। রবিবার রাতে দুজনের চার হাত এক হয়। অভিজিতের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন মৌ। অগ্নিসাক্ষী রেখে স্ত্রী মৌয়ের সকল ইচ্ছের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন স্বামী অভিজিত্। সুসম্পন্ন হয় বিয়ে। রীতি অনুযায়ী এরপর এদিন সকালে মৌয়ের শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পালা। শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার আগে বাপেরবাড়িতে যখন সবাই নবদম্পতির সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য আশীর্বাদ করছেন, তখনই স্বামীর কাছে আবদারটা করেন সদ্য বিবাহিত মৌ।

আরও পড়ুন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করেও ভোটদানে নজির গড়ল নানুর থেকে মুম্বইয়ের ভোটাররা

সাত দফা লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় আজ ভোট বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কাটোয়া বিধানসভা। ফলে আজ ভোট মৌ- অভিজিত, ওদের দুজনেরই। বিয়ের আচার অনুষ্ঠানের জন্য নিজের ভোটদানের অধিকার থেকে বিরত থাকতে চায়নি মৌ। বরং দেশের একজন দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে মৌ চেয়েছিল নিজের ভোট নিজে দিতে। নিজের সেই ইচ্ছের কথা-ই অকপটে স্বামী অভিজিতকে জানায় মৌ।

(নেলপলিশ লাগানো নখ, মেহেন্দি আঁকা আঙুলেই শোভা পাচ্ছে ভোটের কালি)

সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীর মুখে এই ইচ্ছের কথা শুনে আর ইতস্তত করেননি অভিজিত। বর-বউয়ের সাজেই সোজা স্ত্রীকে নিয়ে হাজির হন সংশ্লিষ্ট বুথে। ভোট দেন মৌ। বেনারসি, গয়না, ফুলের মালায় নববধূর সাজে সজ্জিত মৌ ভোট দিয়ে বলেন, "দাম্পত্য জীবনে প্রবেশের আগে ভোট দিতে চেয়েছিলাম আমি। ভোট দিয়ে তারপর শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছিলাম স্বামীর কাছে। নিজে আমাকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে এসে, আমার সেই ইচ্ছায় সর্বতোভাবে সহযোগিতা করেছেন তিনি। আমি খুশি।" 

.