'মমতাদিদি আপনার সময় শেষ, সমূলে উপড়ে ফেলব এবার', হুঙ্কার অমিতের
"বাংলার জন্য এই নির্বাচন অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।"
নিজস্ব প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'সময় শেষ' হয়ে গিয়েছে। আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডের সভা থেকে হুঙ্কার দিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন, এবার নির্বচনে বিজেপিকে কেউ আটকাতে পারবে না। বাংলায় এবার ২৩টা আসন জিতবে বিজেপি।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির পাখির চোখ বাংলা। বাংলায় পদ্মবাগান তৈরিতে মরিয়া বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ২০১৮-র শেষভাগ থেকে দফায় দফায় রাজ্যে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী, অমিত শাহ সহ রাজ্যে এসেছেন বিজেপির অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারাও। আর সফরসূচিতে বিজেপির কাছে বার বারই গুরুত্ব পেয়েছে আলিপুরদুয়ার। আদিবাসী পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ দিয়ে আলিপুরদুয়ারের সঙ্গে জনসংযোগের শুরুটা করেছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। এদিন ফের আলিপুরদুয়ারে আসেন বিজেপি সভাপতি। বিজেপি প্রার্থী জন বার্লার সমর্থনে এদিন আলিপুরদুয়ার প্যারেন্ড গ্রাউন্ডে মেগা র্যালি করেন তিনি।
এদিন সভার শুরুর থেকেই চড়া সুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন অমিত। বলেন, "মা-মাটি-মানুষের সরকারের স্লোগানে আজ ভরসা নেই কারোর। তৃণমূল কংগ্রস মানে তোলাবাজি, টোলট্যাক্স আর সিন্ডিকেট। এখানে সব কিছুর জন্য তোলা দিতে হয়।" এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বিজেপি সভাপতির হুঙ্কার, "তৃণমূলকে এবার শিকড় সুদ্ধু উপড়ে ফেলার সময় এসেছে। আপনার সময় শেষ মমতাদিদি। এবার তৃণমূলের হার নিশ্চিত।" চিনি চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন, "বিজেপিকে কেউ আটকাতে পারবে না। বাংলায় এবার ২৩টা আসন জিতবে বিজেপি।
আরও পড়ুন, 'বাংলার জন্য এই নির্বাচন অস্তিত্বের', একনজরে আলিপুরদুয়ার থেকে অমিত শাহের বক্তব্য
আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে অমিত শাহ তোপ দাগেন, "যে বাংলায় রবীন্দ্রনাথের গান, চৈতন্যদেবের কীর্তন শোনা যেত, এখন সেই বাংলাতেই বোমার আওয়াজে ভরে উঠেছে। বাংলায় গণতন্ত্র, সংস্কৃতিকে ধ্বংস করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েতে ভোট দিতে দেয়নি। পশ্চিমবঙ্গকে ধ্বংস করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।" বাংলার মানুষরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরেই বাংলায় পরিবর্তন, নতুন দিন আসবে বলে ভরসা যোগান তিনি। বলেন," এখানে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের চেষ্টা করছে কমিশন। বাংলার জন্য এই নির্বাচন অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।"