দ্বিতীয় দফা ভোটের নিরাপত্তায় ১০০ কোম্পানির বেশি আধাসেনা, আসছে আরও ৪০ কোম্পানি

৩ কেন্দ্র মিলিয়ে দ্বিতীয় দফার ভোটে মোট বুথ সংখ্যা ৫৩৯০টি। দু-একদিনের মধ্যেই চলে আসবে অতিরিক্ত বাহিনী।

Updated By: Apr 12, 2019, 03:11 PM IST
দ্বিতীয় দফা ভোটের নিরাপত্তায় ১০০ কোম্পানির বেশি আধাসেনা, আসছে আরও ৪০ কোম্পানি

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রথম দফার থেকে দ্বিতীয় দফায় ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা একটি বাড়ছে। আর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাট করতে তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা। দ্বিতীয় দফার ভোটে ব্যবহার করা হবে একশো কোম্পানির বেশি আধাসেনা। এমনটাই জানা গিয়েছে কমিশন সূত্রে। দ্বিতীয় দফার ভোটে বাইরে থেকে আনা হচ্ছে আরও ৪০ কোম্পানি বাহিনী।

প্রসঙ্গত, ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় ভোট। ওই দিন পাহাড়ে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। সেইসঙ্গে সমতলে জলপাইগুড়ি ও রায়গঞ্জে ভোট। উল্লেখ্য, দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রটি নিয়ে যুযুধান তৃণমূল-বিজেপি। সেইসঙ্গে ২০১৭-য় মোর্চা বিক্ষোভে উত্তপ্ত দার্জিলিংয়ের ছবি এখনও টাটকা। গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে মোর্চার বিক্ষোভে আগুন জ্বলেছিল পাহাড়ে। তারপর তিস্তা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। মোর্চার নেতৃত্বে হাতবদল ঘটেছে। কিন্তু, লোকসভা ভোটের ঢাকে কাঠি পড়তেই ফের গোর্খা ভাবাবেগকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা শুরু করে গুরুংপন্থী মোর্চা সদস্যরা। বৃহস্পতিবার কালিম্পংয়ের সভা থেকে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের পালে হাওয়া দেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও।

এই পরিস্থিতিতে ভোটে পাহাড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাট করতে তত্পর কমিশন। প্রথম দফার ভোটে ব্যবহার করা হয়েছে ৮৩ কোম্পানি বাহিনী। দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে রাজ্য আসছে আরও ৪০ কোম্পানি আধাসেনা। অর্থাত্, দ্বিতীয় দফার ভোটের আগেই রাজ্যে মোতায়েন করা হবে মোট ১২৩ কোম্পানি বাহিনী। উত্তর-পূর্বের নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা এবং মেঘালয় থেকে বাহিনী আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে স্ট্রং রুম, ভোটের পরবর্তী হিংসার জন্য কিছু বাহিনী থাকবে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে। বাকি বাহিনী ব্যবহার করা হবে দ্বিতীয় দফায়। এখন ৩ কেন্দ্র মিলিয়ে দ্বিতীয় দফার ভোটে মোট বুথ সংখ্যা ৫৩৯০টি। দু-একদিনের মধ্যেই অতিরিক্ত বাহিনী চলে আসবে। শুরু হয়ে যাবে টহল।

আরও পড়ুন, সেনার পোশাক-টুপিতে বীরপাড়ায় ভোটকেন্দ্রে রাজ্য পুলিস!

উল্লেখ্য, প্রথম দফার ভোটের পর বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফিরে  স্পেশাল পুলিস অবজার্ভার বিবেক দুবে দাবি করেছিলেন, ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে, সহযোগিতা করেছে রাজ্য পুলিস। কিন্তু রাজ্য পুলিসে যে সম্পূর্ণ আস্থা নেই, সেটাই যেন আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে কমিশনের বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। বিরোধীদের দাবি মেনেই বাড়ানো হচ্ছে বাহিনী।

.