Loksabha Election 2019: বাংলায় বিজেপির ভোট বাড়ল ৪ গুণ, আতসকাচের তলায় বামেদের অস্তিত্ব

ভোট শতাংশের হিসেব থেকে একটা কথা স্পষ্ট যে, ২০১৬ থেকে ২০১৯, তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কের খুব বেশি হেরফের ঘটেনি।

Updated By: May 23, 2019, 11:35 AM IST
Loksabha Election 2019: বাংলায় বিজেপির ভোট বাড়ল ৪ গুণ, আতসকাচের তলায় বামেদের অস্তিত্ব

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের ভোটব্যাঙ্কে ব্যাপক বৃদ্ধি বিজেপির। কংগ্রেসের ছিটেফোঁটা অস্ত্বিত্ব টের পাওয়া গেলেও, কার্যত কোনও অস্তিত্ব টের-ই পাওয়া যাচ্ছে না বামেদের। ভোট শতাংশের বিচারে ব্যাপক ধস বাম শিবিরে।  গণনার প্রাথমিক ট্রেন্ড বলছে, তৃণমূলের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে বিজেপির। এই মুহূর্তে রাজ্যে ২৪টি আসনে এগিয়ে আছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ১৭টি আসনে। কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ১টি আসনে।

ভোট শতাংশের দিকে নজর রাখলে দেখা যাচ্ছে, ২০১৬ থেকে ২০১৯, এই  ৩ বছরে প্রায় ৪ গুণের কাছাকাছি বেড়েছে বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক। ২০১৬ বিধানসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে তৃণমূল পেয়েছিল ৪৫.৭১ শতাংশ ভোট। বাম-কংগ্রেস জোট পেয়েছিল ৪০.০৩ শতাংশ। বিজেপি পেয়েছিল ১০.৩১ শতাংশ।

এবার ২০১৯ লোকসভা ভোটের গণনা শুরু হতেই দেখা গেল, আগের হিসেব যেন সব ধুয়ে মুছে সাফ। রাউন্ড যত এগোচ্ছে, তত স্পষ্ট হচ্ছে রাজ্যের ভোটব্যাঙ্কের ছবিটা। প্রথম ৩ ঘণ্টার গণনার পর পরিসংখ্যান বলছে,  শতাংশের বিচারে তৃণমূলের ঘরে ভোট পড়েছে ৪৫.৬ শতাংশ। বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক ব্যাপক বেড়েছে। বিজেপি এখনও পর্যন্ত ভোট পেয়েছে ৩৮.৩ শতাংশ। কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে ৫.৪০ শতাংশ। আর ছবিতে কার্যত আতস কাচ দিয়ে খুঁজতে হচ্ছে বামেদের।

আরও পড়ুন, বাংলায় কে কোথায় এগিয়ে? দেখে নিন এক নজরে LIVE

বামফ্রন্টের প্রধান শরিক দল সিপিআইএম পেয়েছে মাত্র সাড়ে ৬ শতাংশ। বামেদের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শরিক দল সিপিআই পেয়েছে মাত্র ০.১২ শতাংশ ভোট। আরেকটি দল আরএসপি ঘরে পড়েছে ০.৩১ শতাংশ। অর্থাত্, শতাংশের বিচারে বামেদের ভোট ১০ শতাংশও পেরোয়নি। ভোট শতাংশের হিসেব থেকে একটা কথা স্পষ্ট যে, ২০১৬ থেকে ২০১৯, তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কের খুব বেশি হেরফের ঘটেনি।

চূড়ান্ত ফলাফলের নিরিখে রাজ্যে কোন দল কত আসন পেল, তা জানতে এখনও বেশ কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। তবে শতাংশের বিচারে এটা স্পষ্ট যে, বাম-কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কের একটি বিশাল অংশ বিজেপির দিকে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত গণনা বলছে, যাদবপুরে পিছিয়ে রয়েছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। রায়গঞ্জে পিছিয়ে রয়েছেন মহম্মদ সেলিম। বাঁকুড়ায় পিছিয়ে রয়েছেন অমিয় পাত্র। প্রতি জায়গাতেই এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। আর দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি।

.