অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় Live: ২৫০-এর নিচে তৃণমূল নামবে না, যে যা-ই করুক

Last Updated: Thursday, February 18, 2021 - 16:04
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় Live: ২৫০-এর নিচে তৃণমূল নামবে না, যে যা-ই করুক

18 February 2021, 15:45 PM

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় Live :

ভাঁতাবাজিতে আপনারা আগেও পা দেননি। এবারও দেবেন না যেন। বাংলাকে সোনার বাংলা গড়বে বলছে। সোনার দিল্লি এতদিনে হয়নি কেন! সোনার ভারত গড়তে পারেনি কেন! বাংলার কী জানে ওরা। যে মঞ্চ থেকে বক্তৃতা রাখে তার পিছনের ব্যানারে বাংলায় কী লেখা থাকে সেটাও বলতে পারবে না।

আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার এই মাটি থেকেই নির্বাছনী প্রচার প্রতিবার শুরু করেন। এবারও তাই করবেন। এই মাটিকে আমরা সম্মান জানাই। আমরা বলি, দক্ষিণ ২৪ পরগণা আগে যা ভাবে, বাংলা সেটাই ভাবে পরে।

সাত বছরে ১৪ কোটি মানুষের চাকরি পাওয়ার কথা। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো। কিন্তু একজনও বলতে পারবে না, প্রধানমন্ত্রী চাকরি দিয়েছে।

অমিত শাহ বলেছিল, আমরা সব চাষীকে ১৮ হাজার টাকা দেব। আজ আবার কাকদ্বীপে চার লক্ষ মতস্যজীবীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমরা বলছি, আগে টাকা দিন। তার পর এবার ভোট চাইবেন। বারবার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর মানুষ মেনে নেবে না।

আমরা বলি, সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী, একশো দিনের কাজের হিসাব নিন, জোট বেঁধে জোড়াফুলে ভোট দিন।

এখনও আপনারা ১৫ লাখ তো দূরের কথা, ১৫ টাকাও দেননি। 

আমি আপনাদের সাক্ষী রেখে বলতে চাই, বাংলার দশ কোটি মানুষ, আট থেকে আশি সবাই স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড করে দিয়েছে তৃণমূল সরকার। তাই ওদের গাত্রদেহ।

আপনার বাড়়িতে কারও স্মার্টফোন থাকলে আয়ুস্মান ভারতের সুবিধা পাবেন না। কিন্তু মমতা ব্যানার্জির স্বাস্থ্যসাথী সবাই পাবে। আপনারা কোনটা নেবেন, এবার আপনাদের সিদ্ধান্ত।

বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বিজেপি। সাত বছর কেন্দ্রে বিজেপি সরকার। আমরা তো রিপোর্ট কার্ড দিয়েছি। আমরা যা কাজ করেছি তুলে ধরেছি। কেন্দ্রের সরকার হিসাব দিক।

লড়াই হবে তথ্য, পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে। কোন চ্যানেল কে বসবে, কে আসবে ওরা ঠিক করুক। একদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা থাকবে, অন্যদিকে আমি একা থাকব। দশ গোল দেব। 

দশ বছরে আমাদের নেত্রী যা করেছে সারা ভারতের কোনও রাজ্যে হয়নি।

ভাঁওতাবাজি বলছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। এদিকে দিলীপ ঘোষের বাড়ির লোক বলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ। আগে বাড়ির লোককে সামলান। তার পর বাংলার লোককে আয়ুস্মান ভারত নিয়ে ভাঁওতা দেবেন।

সাত বছরে বাংলাকে তিন লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছি বলে ওরা। সাত বছরে বাংলা থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকার কর কেটেছে। ৫ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি বাংলার টাকা কেটে নিয়ে গিয়েছে কেন্দ্র। সেই টাকা দিয়ে এমএলএ, এমপি কিনছে। তৃণমূল থেকে নেতা কিনে সোনার বাংলা কিনবে বলছে। 

তৃণমূল থেকে নেতা নিয়ে যাচ্ছে চার্টার্ড বিমানে। পুরনো বিজেপি কর্মীরা টোটোও পাচ্ছে না।

সামনে জনতা, পিছনে মমতা, ২০২১ দেখাবে বাংলার মানুষ ক্ষমতা। ২৫০-র নিচে তৃণমূল কংগ্রেস নামবে না। যতই নাড়ো কলকাঠি, নবান্নে আবার হাওয়াই চটি।