মুকুলের সাংবাদিক বৈঠক, কে কী বললেন, দেখুন টাইমলাইনে
মুকুল রায়ের মতো লোক যে দলে যাবেন সেই দল লাভবান হবে।
আজকের সাংবাদিক বৈঠকে পর্বতের মূষিকপ্রসব হয়েছে।
উনি সময় নিচ্ছেন, আমরাও সময় নিচ্ছি।
আমরা ভাগ মুকুল ভাগ বলেছিলাম। উনি তৃণমূল থেকে ভেগেছেন।
সুবিধামতো অবস্থান নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সমস্ত আঞ্চলিক দলে একজন নেতা বা নেত্রী থাকেন। দলগুলো প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির মতো চলে। সেখানে থাকতে গেলে কর্মচারী হয়েই থাকতে হবে।
তৃণমূল কংগ্রেসের মতো আঞ্চলিক দল অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়। তার সঙ্গে নৈতিকতার কোনও সম্ভাবনা নেই।
বিজেপিতে উনি যোগ দেবেন কি না এব্যাপারে মন্তব্য করার মতো সময় আসেনি।
তৃণমূলের ঘরের লড়াই। আমাদের কিছু করার নেই।
সন্ধ্যা ৫.১৮ মিনিট - সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষ
*****************************************************************************************************
ছুটির পরে একেবারে ছুটি নেবে কি না সেটা দেখি।
ওনার পিছনে কেউ সুতো ধরে আছে।
হালে পানি পাচ্ছে না। তাই ছুটিতে যাওয়ার ঘোষণা।
অনেক গুঁতো খাওয়ার পর তিনি বুঝতে পেরেছেন বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল নয়। মিষ্টি কথা বলে যদি বিজেপিতে ঢোকা যায়।
আজকে অশ্বডিম্ব হয়েছে। আপনারাও হতাশ হয়েছে কাঁচরাপাড়ার কাঁচরাবাবুর হাত থেকে।
পদহীন হতেই সব মনে পড়েছে?
কেন এতদিন চুপ করে ছিলেন।
অশোক সিংহলের সঙ্গে ওনাকে যোগাযোগ করতে কখনো নির্দেশ দেননি দল।
দল ওনার হাত থেকে বেঁচে গেছে।
উনি জমিদার, চেয়েছিলেন দলটাকে জমিদারিত্বের কায়দায় চালাতে।
মমতার ছবি নিয়েও ভোটে হেরেছেন।
আমাদের রোল মডেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দলের কর্মীরা আমাদের সহকর্মী, চাকর নন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের নেত্রী
উনি যে কথা গুলো বলছে দলের কাছে তার কোনও গুরুত্ব নেই, বললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
২০১৫ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ সুযোগ দিয়েছিলেন।
সিবিআই ডাকার পর থেকেই দলের নির্দেশ না মেনে প্রতিদিন বিজেপির সঙ্গে বৈঠক করছেন।
উনি সব ব্যাখ্যা দিয়েছেন, আসল ব্যাখ্যা দেননি।
দল বাঁচল কাঁচরাপাড়ার কাঁচা ছেলের কাছ থেকে।
এতদিন পর বোধোদয় হল?
বিকেল ৪.৫৯ মিনিট - সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়
****************************************************************************************************
বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল নয়।
বাংলার প্রত্যেকটা বুথে আমার সমর্থক রয়েছে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় বাচ্চা ছেলে। ওর কথার কী জবাব দেব বলুন তো?
রাজনীতিতে পরিবারবাদ গোটা দেশে প্রভাব ফেলছে।
সারদা, নারদের ব্যাপারে মমকা জানতেন না। এটা নেতাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে, যোগাযোগ রয়েছে কংগ্রেসের সঙ্গেও।
নারদ, সারদা তদন্তে তদন্তকারী সংস্থা ডাকলেই যাব।
কয়েকদিন ভেবে সবাইকে সিদ্ধান্ত জানাব।
আমার আরও ৬ মাস সাংসদপদ রয়েছে। কিন্তু নৈতিকতার স্বার্থে ইস্তফা দিলাম।
আমার সঙ্গে সমস্ত রাজনৈতিক দলের যোগাযোগ রয়েছে।
কালীপূজার পর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেব, না নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করব তা তখনই জানাব।
আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলাম। আমি তার সাথী। তার চাকর নই।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়ার জন্যই তৃণমূলের জন্ম। তাহলে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করা হল কেন? পরিবর্তে কংগ্রেসের সঙ্গে মিশে যাওয়াই উচিত ছিল।
সাধারণ সম্পাদক হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের কথা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিলাম।
রাজনৈতিক দল হিসাবে তৃণমূলের নথিভূক্তিকরণের দরখাস্তে প্রথম ব্যক্তি হিসাবে আমি সই করেছিলাম।
ব্যথিত হৃদয়ে ইস্তফা দিয়েছি।
বিকেল ৪.০৯ মিনিট - দিল্লির বাসভবনে শুরু হল মুকুল রায়ের সাংবাদিক বৈঠক
বিকেল ৫.৫৬ মিনিট - ফের দিল্লির বাসভবনের উদ্দেশে রওনা দিলেন মুকুল রায়
বিকেল ৫.৫৪ মিনিট - ইস্তফা পেশ করতে উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করলেন মুকুল রায়
বিকেল ৩.৩০ মিনিট - দিল্লির সাউথ অ্যাভিনিউর বাড়ি থেকে উপরাষ্ট্রপতির বাসভবনের উদ্দেশে রওনা দিলেন মুকুল রায়
আরও পড়ুন- শেষ রাতে ঘুম নেই, প্রথম প্রহরেই পদ্মে মুকুল ফোটার অপেক্ষা
#Delhi: Mukul Roy submits his resignation from Rajya Sabha as TMC MP, to Vice President and RS Chairman Venkaiah Naidu pic.twitter.com/qZ9GwA6pDv
— ANI (@ANI) October 11, 2017
আজই রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন মুকুল রায়। আর তারপরেই মুখ খুলবেন 'জমে থাকা অপবাদে'র জবাব দিতে। ঠিক দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ সংসদভবনে গিয়ে ইস্তফা দেওয়ার পর বিকাল চারটের সময় সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা রয়েছে তাঁর। দিল্লির সাউথ অ্যাভিনিউতে মুকুলের বাসভবনেই সেই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই কলকাতা থেকে সেখানে পৌঁছেছেন জনা পঞ্চাশেক মুকুল অনুগামী। কিন্তু ঠিক কী বলবেন মুকুল রায়? এই জল্পনাতেই আপাতত বুঁদ তৃণমূল-সহ রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন - বাবার সাংবাদিক সম্মেলনের আগে শুভ্রাংশু রায়ের বিস্ফোরক দাবি
ইতিমধ্যেই অরুণ জেটলি ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে সাক্ষাত্ সেরে ফেলা মুকুল রায়ের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসও। 'বিশ্বাসঘাতক মুকুল' যেসব বিষয়ে দলকে আক্রমণ করতে পারে বলে অনুমান তা আগে থেকে আঁচ করে কোমড় বেঁধেছে দল তৃণমূল। জানা যাচ্ছে, কলকাতায় বসে মুকুল রায়ের সাংবাদিক সম্মেলনের জবাব দেবেন দলের মহাসচিব তথা মকুলের ভাষায় 'বাচ্চাছেলে' পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং প্রয়োজন হলে জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলবেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনও।
পাশাপাশি, মুকুল রায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যত্ নিয়েও চলছে প্রবল জল্পনা। তৃণমূল থেকে সাসপেন্ডেড এই নেতা কি পদ্ম শিবিরেই যাবেন না কি অন্য কোনও বিকল্প? তবে, তৃণমূলের একদা চাণক্য হিসাবে পরিচিত এই নেতার ঘণিষ্ঠ মহলের দাবি, 'দাদা বিজেপি-তেই যাচ্ছেন'।