WB Panchayat Election 2023: কেন তৃণমূল ছেড়েছিলেন; ভোটের মুখে বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর, পাল্টা দিল তৃণমূল
WB Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে শাসকদলের নেতারা বারবার বলছেন, শুভেন্দুকে পাঁচটা দফতর দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও তিনি দল ছেড়ে দিয়েছেন। সেই পদের সুবিধে তিনি ভোগ করেছেন। ফুলে ফেঁপে উঠেছেন। তারপরও দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকরা করেছেন। সেইসব অভিযোগের জাবাব দিতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, পদ ভোগ করিনি। পদ ছুড়ে ফেলে দিয়ে এসেছেন।
কিরণ মান্না: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বিস্ফোরক দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী। কেন তিনি তৃণমূল ছেড়েছিলন, প্রকাশ্য সভায় তা খোলসা করলেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, পাঁচখানা দফতর ছেড়ে এসেছিলাম শুধু বাংলাকে বাঁচাতে। এমনকি উপমুখ্যমন্ত্রীর পদও দেওয়ার কথা হয়েছিল। তাও ছেড়েছি। শুভেন্দুর ওই দাবির পাল্টা দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-পঞ্চায়েত ভোটের দিন কেমন থাকবে আবহাওয়া, জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস
বুধবার এগরার সভায় শুভেন্দু বলেন, পাঁচটা দফতরের মন্ত্রী ছিলাম। ছুড়ে ফেলে দিয়ে চলে এসেছি। লাস্ট ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর উপমুখ্যমন্ত্রীর পদের অফার দেওয়া হয়। সেটাও ছুড়ে ফেলে দিয়ে এসেছি। কেন? পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হবে। রাষ্ট্রবাদকে বাঁচাতে হবে। তৃণমূল আমার কোনও পদ কাড়েনি।
শুভেন্দুর ওই দাবি নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, নারদ মামলায় যখন সিবিআই তার এফআইআর-এ তাঁর নাম দিয়ে দিল তখন নিজেকে বাঁচাতে, নিজের পিঠ বাঁচাতে উনি বিজেপিতে চলে গেলেন। এখন মিথ্যে কথা বলছেন উনি। ওঁকে কেউ উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ অফার করেননি। লিখে রেখে দিন। উনি উপমুখ্য়মন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন পদের সাংবিধানিক রক্ষাকবচের জন্য। কিন্তু এই অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের বাবা, ছেলেরা, এদের দাবিই ছিল আরও দাও, আরও দাও। আরও খাব। সেইজন্য দল ওই পদের দাবি নাকচ করে দেয়। তখন গ্রেফতার বাঁচাতে উনি চলে গিয়েছেন বিজেপিতে। এখন পূর্ব মেদিনীপুরে গো হারান হারার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাই এখন ওই গল্প ফেঁদে বাজার গরম করতে নেমেছেন।
পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে শাসকদলের নেতারা বারবার বলছেন, শুভেন্দুকে পাঁচটা দফতর দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও তিনি দল ছেড়ে দিয়েছেন। সেই পদের সুবিধে তিনি ভোগ করেছেন। ফুলে ফেঁপে উঠেছেন। তারপরও দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকরা করেছেন। সেইসব অভিযোগের জাবাব দিতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, পদ ভোগ করিনি। পদ ছুড়ে ফেলে দিয়ে এসেছি।
গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে দল ছাড়ার হিড়িক পড়ে যায় তৃণমূলে। দল ছাড়েন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়ের মতো নেতা। সেইসময় শুভেন্দুর দল ছাড়ার জল্পনাও তেজি হয়ে যায়। দলের তরফে সৌগত রায় তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও শুভেন্দুকে ধরে রাখতে পারেননি। শেষপর্যন্ত অমিত শাহর হাত থেকে পদ্মপতাকা তুলে নেন শুভেন্দু। তখনই থেকেই নাগাড়ে তাঁর মুখে ভাইপো অর্থাত্ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কথা শোন গিয়েছে। এমনকি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে হারানোর পর বহু জায়গায় বলতে থাকেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি ক্ষমতা থেকে সরিয়েই ছাড়বেন। তবে আজ এগরার সভায় খোলসা করে বললেন কেন তিনি দল ছেড়েছিলেন।