আইনশৃঙ্খলার অবনতি! রাজ্য জুড়ে পুলিস সুপারের দফতর ঘেরাও কর্মসূচি বিজেপির

তৃণমূল নেতাদেরকে জনরোষের হাত থেকে রক্ষা করতে বারবার গুলি চালাচ্ছে পুলিস, এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।

Updated By: Jun 24, 2019, 10:03 PM IST
আইনশৃঙ্খলার অবনতি! রাজ্য জুড়ে পুলিস সুপারের দফতর ঘেরাও কর্মসূচি বিজেপির

নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্য জুড়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি। তৃণমূল নেতাদেরকে জনরোষের হাত থেকে রক্ষা করতে বারবার গুলি চালাচ্ছে পুলিস, এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তারই প্রতিবাদে সোমবার রাজ্য জুড়ে পুলিস সুপারের দফতর ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিলেন তিনি।

রাজ্যজুড়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের লাগামহীন সন্ত্রাসসহ বিজেপি কর্মী খুনের প্রতিবাদে নদিয়ার রানাঘাট পুলিশ জেলার কল্যানীতে পুলিশ সুপারের অফিস প্রাঙ্গনে নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির ডাকে অবস্থান বিক্ষোভ। এদিনের অবস্থান বিক্ষোভ অংশ নিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সহ নদীয়া দক্ষিণ জেলার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

 

রাজ্যজুড়ে বিজেপি কর্মীদের উপর পুলিসি আক্রমণের প্রতিবাদে আজ পানিহাটির বিজেপির পক্ষ থেকে অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। এই অবস্থান করে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব শমীক ভট্টাচার্য, সৌরভ সিকদার, মানস ভট্টাচার্য, চণ্ডীচরণ রায় সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং প্রচুর  কর্মী-সমর্থক। অবস্থান বিক্ষোভ শেষে বিজেপির এক প্রতিনিধিদল ব্যারাকপুর ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিসের দপ্তরে স্মারকলিপি দেয়।

রাজ্য ব্যাপী বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুযায়ী  ইসলামপুরে অতিরিক্ত পুলিস সুপারের অফিসের সামনে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা আসতেই শুরু হয় পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। যদিও কিছু সময়ের মধ্যে কয়েক দফায় ধস্তাধস্তি হলেও শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয় বিক্ষোভ সমাবেশ ও ডেপুটেশন কর্মসূচি।

বালুরঘাট এসপি অফিসের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ। রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো দক্ষিণ দিনাজপুরেও বিজেপির এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি চলে। অবশ্য এই কর্মসূচিতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ব্যাপক পুলিস মোতায়েন করা ছিল।কার্যত মুড়ে ফেলা হয় জেলা পুলিস সুপারের অফিস ।

আরও পড়ুন - গ্রেফতার হয়েছে ভাটপাড়ার মূল অভিযুক্ত, শান্তি ফেরাতে কাল একমঞ্চে বাম-কংগ্রেস

রাজ্যজুড়ে বিজেপি কর্মীদের উপর পুলিসি আক্রমণের প্রতিবাদে আজ মালদাতে বিজেপির পক্ষ থেকে অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। এই অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী সহ কর্মী সমর্থকেরা। অবস্থান বিক্ষোভ শেষে বিজেপির এক প্রতিনিধিদল পুলিস সুপারের কাছে পুলিসের দপ্তরে স্মারকলিপি দেয়।

রাজ্য জুড়ে পুলিস সুপারের অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি হল বীরভূমেও। এই কর্মসূচি থেকেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে কড়া হুঙ্কার দিলেন বিজেপি নেতা কালোসোনা মন্ডল। আজ তিনি কর্মীদের নির্দেশ দেন, কাটমানি ফেরত চান না দিলে গলায় গামছা দিয়ে টেনে এনে টাকা আদায় করুন।এছাড়াও, তিনি পুলিস কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন যে, আর ৬ মাসের মধ্যে সরকার আসবে আমাদের।আপনাদের গায়ে হাত দেবো না, যা কেস করছেন খরচা হচ্ছে সুদে আসলে নিয়ে নেব টাকা।

আরও পড়ুন - কাটমানির অভিযোগে কড়া ধারায় মামলা দায়েরের নির্দেশ নবান্নের

বিজেপির ঘেরাও কর্মসূচি আলিপুরদুয়ারেও। এদিন দুপুর আড়াইটায় কয়েকশো বিজেপি কর্মী আলিপুরদুয়ার জেলা কার্যালয় থেকে মিছিল করে জেলা পুলিস সুপারের অফিসে দিকে যায়৷ পুলিস সুপারের অফিসের কিছু আগেই বাঁশের ব্যারিকেট করে পুলিস। বিজেপি কর্মীরা প্রথমে বাঁশের ব্যারিকেট ভেঙে এগোতে থাকেন৷ দ্বিতীয় ব্যারিকেটে আটকে দেয় পুলিস৷ কিছুক্ষন পুলিস ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির পর রনে ভঙ্গ দেয় বিজেপি কর্মীরা৷ এদিন জেলার বিভিন্ন থানা থেকে প্রচুর পুলিস মোতায়েন করা হয়েছিল৷

অন্যান্য জেলার মতো দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জেলা পুলিস অফিস ঘেরাও করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। সোমবার দুপুর সাড়ে তিনটে থেকে চারটের ঘেরাও কর্মসূচি চলাকালীন জেলা পুলিসের অফিস থেকে কিছু দূরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের উপর চড়াও হয় এবং কর্মী সমর্থকদের মারধর করে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন স্থানীয় বিধায়ক দিলীপ মন্ডল। তিনি বলেন, ভারত সেবা সংঘের সামনে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। সেই সমস্ত স্থানীয় মানুষজন বিজেপির গাড়ির উপর চড়াও হয় এতে তৃণমূলের কোন হাত নেই। স্থানীয় মানুষজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি যে এটা রাজনৈতিক কারণ নয়। ঘটনার তদন্ত করে দেখছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিস।

.