Bardhaman|Kirti Azad: তৃণমূল করায় ক্যান্সার আক্রান্তকে সার্টিফিকিটে দিলেন না বিজেপি সাংসদ! ব্যবস্থা করলেন কীর্তি
Bardhaman|Kirti Azad: কীর্তি আজাদ বলেন, ভোট মিটে গেছে। এখন তিনি সবার সাংসদ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে ভোট দিয়েছে, কে তাকে ভোট দেয়নি সেই হিসেব করে তিনি প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফাণ্ডের সার্টিফিকেট দেবেন
অরূপ লাহা: প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফাণ্ডের জন্য সার্টিফিকেট দিলেন না সাংসদ। এমনটাই অভিযোগ উঠল বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে। গুরুতর ওই অভিযোগ করলেন পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষ থানার মুইধাড়ার বাসিন্দা সৈয়দ নজরুল ইসলাম। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। দু'বছর আগে ব্যাঙ্গালোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সার্জারির পর তার একটি কিডনি বাদ যায় এবং তার পর থেকেই তিনি অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । ইতিমধ্যে তিনি জমি বিক্রি করে ৭ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। কেমোর জন্য এখন প্রয়োজন ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা কিন্তু আর্থিক অভাবে জন্য তিনি চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
আরও পড়ুন-নাবালিকাকে অকথ্য নির্যাতন, অধ্যাপককে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত
গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফাণ্ডে আবেদনের জন্য বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌমিত্র খাঁর কাছে যান কিন্তু সাংসদ ছিলেন না। তখন সাংসদের পিএ-কে গোটা বিষয়টি জানান
অসুস্থ সৈয়দ নজরুল ইসলাম। সাংসদের পিএ এই বিষয়টি নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেন সৌমিত্র খাঁর সঙ্গে। সৈয়দ নজরুল ইসলামের অভিযোগ, সাংসদের পিএ তাকে জানান, আপনি রিলিফ ফাণ্ডের সার্টিফিকেট পাবেন না।কারণ সাংসদ আপনাকে সার্টিফিকেট দিতে নিষেধ করেছেন।
এরপরই শনিবার বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কীর্তি আজাদের সঙ্গে দেখা করেন নজরুল ইসলাম। তাঁর কথা শুনেই তৎক্ষণাৎ সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করে দেন কীর্তি। কীর্তি আজাদ নজরুল ইসলামের কাছে জানাতে চান, তাঁর এমপি কে? নজরুল বলেন, সৌমিত্র খাঁ। ওঁর অফিস থেকে বলা হয়েছে আমরা তৃণমূলকে ভোট দিয়েছি। তাই সার্টিফিকেট হবে না। ওই কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডের সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করে দেন কীর্তি আজাদ।
সাংসদ কীর্তি আজাদ বলেন, ভোট মিটে গেছে। এখন তিনি সবার সাংসদ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে ভোট দিয়েছে, কে তাকে ভোট দেয়নি সেই হিসেব করে তিনি প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফাণ্ডের সার্টিফিকেট দেবেন। এটা একেবারেই কাম্য নয়।আমি শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য কলকাতা যাচ্ছিলান। কিন্তু রাস্তায় এই খবর পেয়ে বর্ধমানের পার্টি অফিসে যাই এবং ওই ব্যক্তিকে সার্টিফিকেট দিই। এই বিষয়ে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)