Swasthya Sathi: জামাই-শাশুড়ির চক্র! স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখিয়ে বিপুল টাকার দুর্নীতি, গ্রেফতার মহিলা
অভিযোগ পেয়ে কাটোয়া থানার পুলিস সালেহা বিবিকে আটক করে জেরা করে। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করে তুলে নেওয়া হচ্ছিল বিপুল টাকা। জানতেই পারতেন না কার্ডধারীরা। শেষপর্যন্ত সামনে এসে গেল দুর্নীতি। কাটোয়ায় ওই অভিযোগে গ্রেফতার এক মহিলা। কাটোয়ার গাঁফুলিয়া গ্রামের ঘটনা।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়ার পরই সালেহা বিবি নামে এক মহিলাকে তার বাড়ি থেকে আটক করে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, সালেহাকে জেরা করে জানা গিয়েছে, বর্ধমানের বাহিলাপাড়ার একটি নার্সিংহোমে কাজ করে তার জামাই। তার সাহায্য নিয়েই চলত ওই দুর্নীতি। তবে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে তাদের কোনও কর্মী ওই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক পুলিস।
কীভাবে চলত দুর্নীতি? জানা গিয়েছে, গাঁফুলিয়া-র স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হোল্ডারদের টাকার লোভ দেখিয়ে বর্ধমানের ওই নার্সিং হোমে নিয়ে যেত সালেহা বিবি। তাদের বলা হত তারা কার্ড প্রতি পাবে ১০ হাজার টাকা। আর সালেহা পাবে ২ হাজার। অভিযোগ, এভাবেই গ্রামের ২৫-৩০ জনকে নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে চিকিত্সা না করিয়ে শুধুমাত্র বায়োমেট্রিক করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। কার্ডধারী রাজিয়া বিবি, কুলসুমা বিবির অভিযোগ, তারা জানতে পেরেছেন তাদের চিকিত্সার জন্য কারও ৬০ হাজার, কারও ৭৫ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। এনিয়ে তারা অভিযোগ জানান স্থানীয় আলমপুর পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে। প্রধানের কাছে ওই দুর্নীতির কথা সালেহা স্বীকার করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে।
এদিকে, অভিযোগ পেয়ে কাটোয়া থানার পুলিস সালেহা বিবিকে আটক করে জেরা করে। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এনিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার ধ্রুব দাস বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এনিয়ে তদন্ত চলছে।
অন্যদিকে, বর্ধমানের যে নার্সিংহোমের মাধ্যমে ওই দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ সেই নার্সিং হোমের মালিক সংবাদমাধ্য়মে বলেন, এরকম কোনও দুর্নীতি হলে অবশ্যই দোষীরা শস্তি পাক। এর পাশাপাশি আলমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, গাঁফুলিয়াতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। টাকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে একটি চক্র টাকা তুলে নিচ্ছে। আমি থানায় জানিয়েছি। গ্রামবাসীরা সালেহা বিবি ও তার জামাই মুন্সি নুরুল হাসানের কঠোর শাস্তির দাবি করছে।
আরও পড়ুন-মহাবিশ্বের অনন্ত রহস্যসন্ধানী এই দুই মুখ কেন স্মরণীয় ১৪ মার্চেই?