Kalna House Wife Suicide: জামাইষষ্ঠীর পরেই সাধের সংসারে 'দুর্যোগের ছায়া', স্বামীর লোভে 'চরম' পরিণতি গৃহবধূর
অভিযোগ, দাবি মতো বাইক কিনে দিতে না পারায়, স্ত্রীকে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করত স্বামী। প্রতি মুহূর্তে খোঁটা দিত। মৃত্যুর প্ররোচনা দিত। মৃতার পরিবারের দাবি, এর জেরেই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ।
সঞ্জয় রাজবংশী: মাঝে মধ্যেই বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার চাপ দিত স্বামী। জামাইষষ্ঠীর পর স্ত্রী'র কাছে দামি বাইক দাবি করেছিল। অভিযোগ, শখ না মেটানোয় চলছিল প্রবল অত্যাচার। সেই অত্যাচারের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে, চরম পদক্ষেপ নিলেন কালনার গৃহবধূ। আত্মহত্যা করলেন তিনি।
গোটা ঘটনায় পূর্ব বর্ধমানের কালনার সমুদ্রগড়ের আদর্শপল্লি এলাকায় তীব্র উত্তেজনা। অভিযোগ, দাবি মতো বাইক কিনে দিতে না পারায়, স্ত্রীকে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করত স্বামী। প্রতি মুহূর্তে খোঁটা দিত। মৃত্যুর প্ররোচনা দিত। মৃতার পরিবারের দাবি, এর জেরেই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃতদেহটি পাঠায় নাদনঘাট থানার পুলিস।
জাা গিয়েছে, মৃত ওই গৃহবধূর নাম মিতালি বসাক। অভিযুক্ত স্বামীর নাম সুরজিৎ বসাক। অভিযোগ, দামি মোটরবাইকের জন্য গৃহবধূকে চাপ দিত তাঁর স্বামী। গৃহবধূ বাপের বাড়িতে বলে মোটরবাইক কিনে দেওয়ার জন্য রাজিও করিয়ে ফেলে। তাঁর বাবা প্রথম খেপে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও মন অভিযুক্ত সুরজিৎ বসাকের। জামাইষষ্ঠীর কয়েক দিন বাদে শ্বশুরবাড়িতে খেতে গিয়ে,সবার সামনে স্ত্রীকে অপমান করে সে। এরপরই আত্মঘাতী হন গৃহবধূ। ঘটনায় নাদনঘাট থানায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার বাবা অখিল বসাক।তিনজনকে আটক করেছে পুলিস।