নাবালক ছাত্রীর বিয়ে দেওয়ার নিদান মাতব্বরদের, সালিশিসভায় বেধড়ক মারধর নারাজ মা-কে
সালিশিসভা বসিয়ে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা। তাদের দাবি, সালিশিসভা বসেছিল ঠিকই তবে ওই ছাত্রীর বিয়ে দেওয়ার কোনও কথা হয়নি
নিজস্ব প্রতিবেদন: সালিশিসভায় নাবালক ছাত্রীর বিয়ের নিদান দিলেন গ্রামের মাতব্বররা। সেই নিদান মানতে নারাজ ছাত্রীর মা। তাতেই অগ্নিশর্মা সালিশিসভায় আসা লোকজন। বেধড়ক মারধর করা হল ওই ছাত্রী ও তার মাকে। ঘটনাটি ঘটেছে কালনার মধুবন এলাকায়।
আরও পড়ুন-উদ্বাস্তু মন জয়ে কেন্দ্রের জমিতে বসবাসকারীদের সার্টিফিকেট দেবে রাজ্য সরকার
কেন এমন নিদান? স্থানীয় সূত্রে খবর গ্রামেরই এক কিশোরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওই ছাত্রীর। এতে পাড়ার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে সালিশিসভা বসায় প্রতিবেশীরা। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় ওই ছাত্রীর বিয়ে দিতে হবে তার সঙ্গে সম্পর্কে থাকা কিশোরের সঙ্গে। এতেই বেঁকে বসেন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রীর মা রূপা মাহাত। তার পরেই ওই ছাত্রী ও রূপাকে মারধরে করে তার প্রতিবেশীরা। এমনটাই অভিযোগ রূপার পরিবারের। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে কালনা সুপার স্পেশিয়ালিটি হাসপাতালে।
আরও পড়ুন-হঠাত্ বাড়ল তাপমাত্রা, আগামী কয়েক দিনও পারদ নামার তেমন সম্ভাবনা নেই
মারধরে অভিযুক্ত প্রতিবেশী নারায়ণ মাহাত, চাঁদু মাহাত, অঞ্জনা পাল, তিলক মাহাত-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে রূপার পরিবার। তবে সালিশিসভা বসিয়ে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা। তাদের দাবি, সালিশিসভা বসেছিল ঠিকই তবে ওই ছাত্রীর বিয়ে দেওয়ার কোনও কথা হয়নি। মীমাংসার জন্য ডাকা ওই সভায় উত্তেজিত হয়ে উঠলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি লেগে যায়। তাতেই আহত হন রূপা মাহাত।