জয়নগর শুটআউটকাণ্ডে মূলচক্রী কি বাবুয়া না রয়েছে কোনও রাঘব বোয়ালের হাত? সূত্র খুঁজছেন তদন্তকারীরা
এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জয়নগর শুটআউটকাণ্ডে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করল জয়নগর থানার পুলিস । গত বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর পুলিস ও সি আই ডি র বিশেষ দল দফায় দফায় তল্লাসি চালিয়ে শনিবার রাত পর্যন্ত মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করেছিল। সোমবার ফের ২ জনকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ২ জনের মধ্যে সাইফুল নস্কর জয়নগরের ফতেপুরের বাসিন্দা ও সালাউদ্দিন হাসানপুরের বাসিন্দা। দুজনকেই বারুইপুর আদালতে পেশ করা হয়।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে আর্জি মঞ্জুর, আইনি লড়াইয়ের পাশে রথযাত্রা নিয়ে আইন অমান্য কর্মসূচি বিজেপির
জয়নগর শুটআউটের ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়েছিল মাসখানেক আগেই। ধৃতদের জেরা করে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। ধৃত সাজমল জেরায় জানিয়েছে, এলাকায় আগে দাপট ছিল বাবুয়ার। কিন্তু বিধায়ক ঘনিষ্ঠ হওয়ার ফলে ক্রমেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছিল সরফুদ্দিন। আর সেটাই সহ্য হয়নি বাবুয়ার। সরফুদ্দিনের উত্তরোত্তর প্রভাববৃদ্ধি সহ্য হয়নি অনেকেরই। আর এই বিষয়টিকেই কাজে লাগাতে চেয়েছিল বাবুয়ারা।
আরও পড়ুন: শত্রুর শত্রুদের সঙ্গে জোট করে সরফুদ্দিনকে খুনের ছক বাবুয়ার!
বাবুয়া আর সাজমল ছক কষে, সরফুদ্দিনের শত্রুদের জড়ো করার। সেই অনুযায়ী বেশ কয়েকটি দলকে সরফুদ্দিনের বিরুদ্ধে একত্রিত করে ফেলেছিল তারা। তারপরই ‘অপারেশন’এর সুযোগ খুঁজতে থাকে তারা।
আরও পড়ুন: বৈঠকে মিলল না অনুমতি, রথযাত্রা নিয়ে ফের বিজেপির মামলা হাইকোর্টে
পুরনো শত্রুতার জেরেই যে খুন হতে হয়েছে সরফুদ্দিনকে, তা প্রাথমিক তদন্তের একপ্রকার নিশ্চিত পুলিস। তবে এর পিথনে মূল মাথা কি বাবুয়া, নাকি তার মাথাতেও কেউ বসে রয়েছে? সেটাই খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। শত্রুর শত্রু কারা, সেটাই সূত্রই মেলানোর চেষ্টা করছে সিআইডি।