Abhishek Banerjee: 'তুমি অনেক বড় হবে', অভিষেকের কোন আশ্বাসে দু'হাত তুলে আশীর্বাদ করলেন ৯৭ বছরের বৃদ্ধ?
Abhishek Banerjee: সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার অভিজ্ঞতার কথা বলতে দিয়ে অভিষেক বলেন, গ্রামে এ বৌদি আমাকে গ্রামে রাস্তায় নিয়ে গিয়ে দেখাল। পিএমজিএসওয়াইয়ের রাস্তা। আমি ওদের বললাম, নরেন্দ্র মোদীর রাস্তা। কাজ হবে কী করে? পানীয় জল নিয়েও উনি অভিযোগ করলেন। আমি বলেছি পালীয় জল করে দেব
প্রবীর চক্রবর্তী: পূর্ব বর্ধমানের বড় বৈনানে গিয়ে অন্য অভিজ্ঞতা হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। গ্রামের মণ্ডলপাড়ায় সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগের কথা শুনছিলেন অভিষেক। সেখানেই তাঁর দিকে এগিয়ে এলেন ৯৭ বছরের এক বৃদ্ধ। বার্ধক্যভাতা পাননি, এলাকায় স্কুল করেছেন, অন্যান্য জিনিসও করেছেন। গ্রামের বহু মানুষ তাঁকে টাকার অফার করেছেন দল বদলের জন্য। কিন্তু দল ছাড়েননি।
আরও পড়ুন-'আমাদের এই ল্যাম্পপোস্টে আলোর ব্যবস্থা করে দেবেন!', রায়নায় আরএসএস কর্মীর অনুরোধে কী বললেন অভিষেক?
অভিষেককে কাছে পেয়ে ওই বৃদ্ধ বলেন, 'সারা জীবন কংগ্রেস করেছি। এই শেষ বয়সে তৃণমূল করতে চাই। তুমি সুযোগ করে দাও বাবা।' বৃদ্ধের ওই কথা শুনে অভিষেক ওই বৃদ্ধের বিস্তারিত তথ্য নিয়ে নিতে বলেন। তৃণমূলে যোগদানের ব্যবস্থা তিনি করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। ওই কথা শুনে অভিষেককে দুহাত তুলে আশীর্বাদ করেন। বলেন তুমি অনেক বড় হবে। তবে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। ওই কথা শুনে অভিষেকও বলেন, নিষ্ঠার সঙ্গেই তিনি কাজ করছেন। ভবিষ্যতেও করবেন।
এদিকে, আরও একটি ঘটনার সাক্ষী রইলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কাইতি যাওয়ার পথে তাঁর গাড়ি থামান এক আরএসএস কর্মী। এনিয়ে অভিষেক বলেন, জামালপুর থেকে বেরিয়ে রায়না যাচ্ছিলাম। নানা জায়গায় দাঁড়িয়েছি। আরএসএসের এক যুবক এসে বলল সে বিজেপির কর্মকর্তা। বলল, তার গ্রামের ল্যাম্পপোস্টে আলো নেই। একটু বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দেবেন? আমি বললাম করে দেব। এমন রাজনীতি চাই। বিজেপির কর্মী, সে অমিত শাহকে না বলে আমাকে বলল। আমি বললাম করে দেব।
সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার অভিজ্ঞতার কথা বলতে দিয়ে অভিষেক বলেন, গ্রামে এ বৌদি আমাকে গ্রামে রাস্তায় নিয়ে গিয়ে দেখাল। পিএমজিএসওয়াইয়ের রাস্তা। আমি ওদের বললাম, নরেন্দ্র মোদীর রাস্তা। কাজ হবে কী করে? পানীয় জল নিয়েও উনি অভিযোগ করলেন। আমি বলেছি পালীয় জল করে দেব। সন্ধের টক শোতে দেখানো হয়ে আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। আমি বলি, মানুষের চাহিদা রয়েছে। আমাকে বলেছে। এমন বিক্ষোভে আমি রোজ একশো বার পড়তে চাই। বিনামূল্য ভাষণা নাকি বিনামূল্যে রেশন, কী চান আপনারাই ঠিক করুন।
এদিন কাইতির সভায় অভিষেক বলেন, তিন মাস অন্তর প্রতিটি পঞ্চায়েতের কাজের পর্যালোচনা হবে। যদি কেউ ভালো কাজ করে তাহলে তার কাজের মেয়াদ বাড়ানো হবে। আর যদি কেউ দুর্নীতি করতে তাহলে তাকে পদত্যাগ করিয়ে দল থেকে বহিষ্কার করানোর দায়িত্বও আমার। মানুষ যাকে সার্টিফিকেট দেবে সে-ই তৃণমূলের প্রার্থী হবে। জোয়ার যখন আসে তখন নদীর পাড় থেকে আবর্জনা ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তৃণমূলে নবজোয়ার তেমনই কর্মসূচি। আমরা এমন প্রতিনিধি চাই যিনি দলমত নির্বিশেষে মানুষের জন্য কাজ করবে।
গতকালই কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হয়েছে। সেখানে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। সেই ফলের কথা টেনে এনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ১৫ দিন আগে রাজ্যে একটা সভা করে বলেছিলেন, দিদি ২০২৫ সালে আপনার সরকার ফুস হয়ে যাবে। আর গতকাল কী দেখলাম? কর্নাটকে বিজেপির সরকার, আমরা যাকে মজা করে মায়ের ভোগে যাওয়া বলি সেটাই হয়েছে। ডবল ইঞ্জিন সরকার। ভোঁকাট্টা হয়ে গিয়েছে কাল। দক্ষিণভারত থেকে কার্যত বিজেপি মুছে গিয়েছে। কর্নাটকে বিজেপি নেই। অন্ধ্রে, কেরালায়, তেলঙ্গানায় বিজেপি েনই। পূর্বভারত দেখুন। বাংলায় বিজেপি নেই। বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগড়ে বিজেপি নেই। খলি রয়েছে মধ্যভারত ও পশ্চিমভারতের কয়েকটি রাজ্যে। এদের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। এরা ভেবেছিল ভোট জিতব আর ক্ষমতায় থেকে যাব। গণতন্ত্রে মানুষ শেষ কথা বলে। এবা বুঝতে পারবে বিজেপি। মানুষ চাইলে যে কাউকে টেনে নীচে নামিয়ে দিতে পারে। মনে রাখবেন আণরা দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করব না।