Jalpaiguri: ছাত্রীকে 'একা ঘরে' ডাক শিক্ষকের, অভিযোগ শারীরিক নির্যাতনের! স্কুলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ
জলপাইগুড়ি শহরেরই দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার এডমিট কার্ড সংগ্রহ করবার জন্য স্কুল থেকে ফোন করে ডাকা হয়। ফোন পেয়ে দিদিকে সঙ্গে নিয়ে স্কুলে যায় ছাত্রী। অভিযোগ এডমিট কার্ড সংগ্রহ হয়ে গেলে স্কুলের এক শিক্ষক তাকে একটি ঘরে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু ছাত্রী একা যেতে না চাওয়ায় তার দিদিকে ডাকে। অথচ দিদিকে ঘরে নিয়ে যেতে চায় না সেই শিক্ষক বলে অভিযোগ।
প্রদ্যুৎ দাস: জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন এক বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় জলপাইগুড়িতে। শহর সংলগ্ন এক বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ছাত্রীকে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। প্রায় দু-ঘন্টা ধরে লাগাতার নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়ে ছাত্রী। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাতর আবেদন জানান অভিভাবক। তবে সেই আবেদন উপেক্ষা করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে ফোন করে পুলিসের সাহায্য চায় ছাত্রীর দিদি। খবর পেয়ে ছুটে আসে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিস। অবশেষে ছাত্রীকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন, Kultali: কুলতলিতে যৌন নির্যাতন, গ্রেফতার এক নাবালক সহ ২
আপাতত হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছাত্রী। এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে গোটা ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে টেকনো ইন্ডিয়া স্কুল কর্তৃপক্ষ। জলপাইগুড়ি শহরেরই দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার এডমিট কার্ড সংগ্রহ করবার জন্য স্কুল থেকে ফোন করে ডাকা হয়। ফোন পেয়ে দিদিকে সঙ্গে নিয়ে স্কুলে যায় ছাত্রী। অভিযোগ এডমিট কার্ড সংগ্রহ হয়ে গেলে স্কুলের এক শিক্ষক তাকে একটি ঘরে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু ছাত্রী একা যেতে না চাওয়ায় তার দিদিকে ডাকে। অথচ দিদিকে ঘরে নিয়ে যেতে চায় না সেই শিক্ষক বলে অভিযোগ। এরপর তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
আরও অভিযোগ এরপর ছাত্রীকে মারধর করে অভিযুক্ত শিক্ষক। তারপরই অসুস্থ হয়ে ছাত্রীর বমি শুরু হয়। প্রায় দু'ঘন্টা ধরে চলে এই অবস্থা। ছাত্রীর দিদি বারবার স্কুল কর্তৃপক্ষেকে অনুরোধ করতে থাকে অ্যাম্বুলেন্স ডাকার জন্য। তবে স্কুলে কোনও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ অ্যাম্বুলেন্স না ডাকলে এরপর পুলিসকে খবর দিলে পুলি, এসে অসুস্থ ছাত্রীকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে স্কুলে ছুটে যায় পরিবারের লোকজন। শুরু হয় কথা কাটাকাটি, গালিগালাজ। পরে কোতোয়ালি থানার পুলিস এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
এই ঘটনায় প্রিন্সিপালের সঙ্গে দেখা করতে গেলে বাঁধা দেয় স্কুলেরই এক কর্মী। তিনি প্রিন্সিপালের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি। স্কুলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়াও মেলেনি। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার পর জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। পুরো ঘটনা তদন্ত করছে পুলিস।
আরও পড়ুন, Bengal Weather Update: বাড়তে শুরু করল দিন ও রাতের তাপমাত্রা, শনিবার থেকে শহরে গরমের সম্ভাবনা