Jalpaiguri College: রুটিন বদলের দাবিতে তুলকালাম, প্রিন্সিপ্যালের ঘরে ঢুকে ধুন্ধুমার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের

গোটা ঘটনা নিয়ে প্রিন্সিপ্য়াল ডক্টর সিদ্ধার্থ সরকার বলেন, আমি আমার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এমসিপি নামিয়ে আমার ঘরের বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেওয়া হল। আমি গিয়ে ফের চালু করলাম। তারপর হঠাত্ আমার ঘরে ঢুকে পড়ল কিছু স্টাফ

Updated By: Aug 24, 2022, 07:12 PM IST
Jalpaiguri College: রুটিন বদলের দাবিতে তুলকালাম,  প্রিন্সিপ্যালের ঘরে ঢুকে ধুন্ধুমার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের

প্রদ্যুত্ দাস: রুটিন বদলের দাবিতে ধুন্ধমার কাণ্ড জলপাইগুড়ি কমার্স কলেজে। প্রিন্সিপালের ঘরে ঢুকে তুলকালাম করার অভিযোগ উঠল কলেজ শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে। প্রিন্সপ্যালের দাবি তাঁর গায়ে হাত তোলা হয়েছে। খুলে ফেলা হয়েছে সিসিটিভি। এনিয়ে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করেছেন কলেজ অধ্যক্ষ। কেন এমন বিক্ষোভ? কলেজ সূত্রে খবর, এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে কলেজের নতুন রুটিন নিয়ে গোলমাল শুরু হয়েছে। নতুন রুটিনে বলা হয়েছে কলেজ শুরু হবে সকাল সাড়ে দশটা থেকে। শেষ হবে বিকেল পাঁচটায়। ওই নতুন রুটিনের বিরুদ্ধে সরব হন কলেজ পড়ুয়াদের একাংশ। তাদের দাবি নতুন রুটিন চালু হলে ফেরার গাড়ি পেতে তাদের সমস্যা হবে। তাই নতুন রুটিন বাতিল করে পুরনো রুটিনই বহাল রাখা হোক। ওই রুটিনে ক্লাস শুরু হয় সকাল দশটায়।

আরও পড়ুন-আসানসোল জেলই ঠিকানা অনুব্রতর, রায়ের পরই বদলে গেল মুড !

এদিকে, বুধবার সকালে পড়ুয়াদের একাংশ দাবি করেন নতুন রুটিনেই ক্লাস নিতে হবে। সেই দাবি নিয়ে তারা চলে আসেন প্রিন্সিপ্যালের ঘরে। ওইসব পড়ুয়াদের সঙ্গে প্রিন্সিপ্যালের ঘরে ঢুকে যান কলেজের কয়েকজন অধ্যাপক, অধ্যাপিকা ও অশিক্ষক কর্মীরা। তারা সিসিটিভি খুলে নেন। টেবিল চাপড়ানো থেকে প্রবল চিত্কার, হইহট্টগোল শুরু হয়ে যায়। প্রিন্সিপ্যালের অভিযোগ তাঁর গায়েও হাত তোলা হয়েছে। 

এদিকে, ওই খবর ছড়িয়ে পড়তেই কলেজে চলে আসে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারা। তারা পড়ুয়াদের উপরে চড়াও হলে বলে অভিযোগ। যদিও ওই দাবি অস্বীকার করেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা শুভব্রত চৌধুরী।

গোটা ঘটনা নিয়ে প্রিন্সিপ্য়াল ডক্টর সিদ্ধার্থ সরকার বলেন, আমি আমার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এমসিপি নামিয়ে আমার ঘরের বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেওয়া হল। আমি গিয়ে ফের চালু করলাম। তারপর হঠাত্ আমার ঘরে ঢুকে পড়ল কিছু স্টাফ। তারা ঢুকে আমার সিসিটিভি ক্যামেরা খুলে নিল। খুব খারাপ ভাষায় কথা বলা শুরু করল। আমার উপর তারা চড়াও হয়, আমার গায়ে হাত তোলা হয়। কলেজে আসার সময় ওদের দাবি অনুযায়ী সকাল সাড়ে দশটায় করে দিয়েছি। গোটা ঘটনা পুলিসকে জানিয়েছি। 

অপরদিকে প্রিন্সিপালের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন কলেজের হেড ক্লার্ক রাজীব চৌধুরী। তিনি বলেন রুটিন নিয়ে কলেজে অচলাবস্থা তৈরী হয়েছে। তাই ছাত্রদের সাথে আমরাও প্রিন্সিপালের কাছে যাই। কিন্তু প্রিন্সিপাল যদি তার ওপর চড়াও হবার অভিযোগ করে থাকেন তবে তা তাকেই প্রমান করতে হবে। আমরা তার উপর চড়াও হইনি।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.