ত্রিপুরার পর কি বাংলা? আশাবাদী বিজেপি, পাত্তাই দিচ্ছে না তৃণমূল
ত্রিপুরার পরিবর্তনের ঢেউ কে আছড়ে পড়বে বাংলাতেও? সিপিএম অতীত, বিজেপি ভবিষ্যত- এরকমটা কি এবার ভাবা শুরু করবেন পশ্চিমবঙ্গের আম আদমি? ত্রিপুরা ভোটের পর ক্রমশ সামনে আসছে সেই প্রশ্নটাই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ত্রিপুরায় গেরুয়া ঝড়। ধুয়েমুছে গেল পঁচিশ বছরের বাম জমানা। সেই পরিবর্তনের ঢেউ কি আছড়ে পড়বে এরাজ্যেও? সেই আশায় উচ্ছ্বসিত রাজ্য বিজেপি। তৃণমূল অবশ্য এই উত্সাহকে পাত্তা দিতেই রাজি নয়।
পশ্চিমবঙ্গ আর ত্রিপুরা। একটি রাজ্যের নাড়ি টিপলেই জানা যেত আরেকটি রাজ্যের রাজনীতির হাল হকিকত। ২০১১ সালে বাম দুর্গকে চুরমার করে দিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। কিন্তু, ২০১৩-তেও জিতে এসেছেন মানিক সরকার। ২০১৮ সালে তা আর হল না। মানিক ছেড়ে হিরেকেই বেছে নিলেন ত্রিপুরার মানুষ।
কিন্তু, ত্রিপুরার পরিবর্তনের ঢেউ কে আছড়ে পড়বে বাংলাতেও? সিপিএম অতীত, বিজেপি ভবিষ্যত- এরকমটা কি এবার ভাবা শুরু করবেন পশ্চিমবঙ্গের আম আদমি? ত্রিপুরা ভোটের পর ক্রমশ সামনে আসছে সেই প্রশ্নটাই।
রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানাচ্ছেন, ত্রিপুরায় এতবড় জয়, আর বাংলায় পরিবর্তন হবে না, তা কি হয়...নিশ্চয়ই হবে। পরিসংখ্যান বলছে ত্রিপুরায় কংগ্রেসের ভোটের পুরোটাই চলে গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। সেই ধারার সাক্ষী থাকবে কি বাংলার রাজনীতিও? ত্রিপুরার জয় সেই স্বপ্নই দেখাচ্ছে এরাজ্যের বিজেপি নেতাদের। শুরু হয়ে গিয়েছে অঙ্ক কষাও।
আরও পড়ুন- ত্রিপুরার সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব
তবে বাংলার বিজেপি নেতাদের এই উচ্ছ্বাসকে অবশ্য পাত্তাই দিচ্ছে না তৃণমূল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, "পশ্চিমবঙ্গে যারা খোল করতল নিয়ে নেমে পড়েছেন, তাদের বলি এতে উত্সাহিত হওয়ার কারণ নেই....খোল করতাল নিয়ে শ্মশানেই দেখা হতে পারে।"
অন্যদিকে, কংগ্রেসের ভোট বিজেপি খেয়ে নিলেও এরাজ্যে তাদের ভোটে ভাগ বসাতে পারবে না গেরুয়া শিবির। বলছেন সিপিএমের নেতারা।
প্রতিবেশী রাজ্যে গেরুয়া ঝড়। আর এতেই আত্মবিশ্বাস বেশ কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে রাজ্য বিজেপির। উচ্ছ্বসিত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। ত্রিপুরার জয়কে হাতিয়ার করে বাংলায় আরও বেশি করে এবার নজর দিতে চান তারা।